জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা, র্যালি ও বেলুন উড়িয়ে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে আজ ৫২ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো “সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ”।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমবায় দপ্তরের উদ্যোগে নগরীর এলজিইডি ভবন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আই,সি,টি) সাদিযুর রহিম জাদিদ। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমবায় দপ্তরের যুগ্ম-নিবন্ধক আশীষ কুমার বড়ুয়া, যুগ্ম-নিবন্ধক দুলাল মিঞা , চট্টগ্রাম জেলা সমবায় অফিসার মুরাদ আহাম্মদ, উপ-নিবন্ধক জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, উপ-নিবন্ধক কানিজ ফাতেমা, উপ-সহকারী নিবন্ধক মোঃ কেফায়েত উল্লাহ খান, ডবলমুরিং থানা সমবায় অফিসার সুমিত কুমার দত্ত, পাঁচলাইশ থানা সমবায় অফিসার শফিউল আলম, কোতোয়ালী থানা সমবায় অফিসার মোহাম্মদ ওছমান গনি, চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কার্যালয়ের জেলা অডিটর পার্থ কান্তি বিশ^াস, পরিদর্শক জনাব আবু বকর, হিমেল দে, অর্পণ দাশগুপ্ত, জিয়া উদ্দিন রিয়াজ, মোঃ সোলায়মান প্রমুখ। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক এর ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, পদ্মা অয়েল কোম্পানী এমপ্লয়ীজ আরবান কো-অপারাটিভ সোসাইটি লিঃ এর সভাপতি মোঃ শাহা আজিজ, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর সম্পাদক ফরহাদ চৌধুরী প্রমুখ। দিবসের শুরুতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা। সমবায় সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা ছিল গভীর এবং বাস্তবমুখী। এ জন্য তিনি সমবায়ের মাধ্যমে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন গণমুখী কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্বনির্ভর দেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন সরকারের পক্ষ থেকে সমবায় সমিতিসমূহকে ঋণ প্রদান করা হলে প্রান্তিক পর্যায়ের সমবায়ীরা যেমন স্বাবলম্বী হতেন ঠিক তেমনি সরকারী ঋণ আত্মসাতের হারও কমে আসতো। তিনি সমবায় সমিতির সদস্যদের বাস্তবমুখী কারিগরি ও ট্রেড ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের উপর গুরুত্ব প্রদান করেন। প্রয়োজনে সমবায়ীদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ দেওয়া হবে মর্মে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন ফিলিস্তিনের গাজায় নয় হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমাদের কোন মাথাব্যাথা নাই। তারা শুধু বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সারাক্ষণ উপদেশ দিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশ নিয়ে দেশ-বিদেশে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য তিনি সবাইকে অনুরোধ জানান।
আলোচনা সভা শেষে বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় সমবায় পুরষ্কারের জন্য মনোনীত শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি ও শ্রেষ্ঠ সমবায়ীকে পুরস্কৃত করা