হাটহাজারীতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৭ জনের শেষকৃত্য চন্দনাইশে সম্পন্ন

গত ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম হাটহাজারীর চারিয়ায় বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত এক পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু শেষকৃত্য চন্দনাইশের জোয়ারায় নিহতদের পারিবারিক শ্মশানে সম্পন্ন হয়। স্ত্রী রীতা রানী দাশ, দুই মেয়ে শ্রাবন্তী দাশ ও বর্ষা দাশ এবং যমজ দুই ছেলে দ্বীপ দাশ ও দিগন্ত দাশসহ পরিবারের ৭ জনকে হারানো মুখাগ্নিকারী প্রবাসী নারায়ণ দাশের উপস্থিতিতে মৃতদেহগুলো চিতায় নিয়ে এসে দাহ করা ও গর্তে পুঁতে ফেলা হয়। ৮ নভেম্বর বুধবার সকালে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে নিহতের প্রতি শ্রদ্ধার্তে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এদিন ভোর থেকে গাউছিয়া কমিটির নেতৃত্বে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। এই অনুষ্ঠানে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের মৃত ব্যক্তির সেবা ও কাফন-দাফন কর্মসূচির চন্দনাই উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী নেতৃত্বে পুরুষ-মহিলা নিয়ে গঠিত একটি টিম প্রয়াতদের শেষকৃত্বে অংশ গ্রহণ করেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে গভীর শোক জানান, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহম চৌধুরী জুনু, জোয়ারার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
এই ঘটনায় নারায়ণের বোন উপজেলার সাতবাড়িয়া থেকে আসা মৃত সচীন্দ্র দাশের স্ত্রী চিনু দাশ ও নারায়ণের বড় ভাই পঙ্গু শম্ভু দাশের ছেলে বিপ্লব দাশও নিহত হলে বেঁচে আছেন কেবল বাপ্পা দাশ। ওরা ৮ জন। সবাই চন্দনাইশ থেকে যাচ্ছিলেন ফটিকছড়িতে আত্মীয়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে। পথে হাটহাজারীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চলে গেলেন ৭ জন। তারা চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ধোপা পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।