আগামী ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রধান অধ্যাপক, কৃতী শিক্ষাবিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আলহাজ্ব আহমদ হোসেনের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। পুর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামে ৩য় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবীতে যে সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয় তাতে অধ্যাপক আহমদ হোসেনকে আহবায়ক নির্বাচিত করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা বিশ্লেষন করে-তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, গর্ভনর ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সদস্যদের স্বহস্তে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য বেশ কয়েকবার করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোর সফর করেন। ১৯২৮ সালের ৮ জানুয়ারী চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত হাটহাজারী থানার গরদুয়ারা গ্রামে অধ্যাপক আহমদ হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। অধ্যাপক আহমদ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ.পাশ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি মুসলিম ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। পরে ১৯৫১ সালে চট্টগ্রামে নিখিল পুর্ব পাকিস্তান ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। এই সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে ইকবাল হলের আবাসিক ছাত্র থাকা অবস্থায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদের সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৯-৭০ সালের উত্তাল গণআন্দোলনের সময় ও মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে তার লেখা, নির্দেশিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গীতি নাট্য, গীতি আলেখ্য, উদ্দীপনামুলক গান ও নাটক দেশের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চায়িত হয়। তার লেখা “আমাদের মুক্তি সংগ্রাম” গীতি নাটকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রামে মুক্তি সংগ্রামে উদীপ্ত করেছিল। অধ্যাপক আহমদ হোসেন আইস ফ্যাক্টরী রোডে “চট্টগ্রাম সরকারি সিটি মহিলা উচ্চ বিদ্যলয়” এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি তার নিজ গ্রাম হাটহাজারীর গরদুয়ারায় তার শিক্ষাগুরু ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র নামে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অধ্যাপক আলহাজ্ব আহমদ হোসেনের ২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে অধ্যাপক আহমদ হোসেন স্মৃতি সংসদ ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে আগামী ১৬ নভেম্বর সকাল ১০ টায় মেহেদিবাগ শহীদ মির্জা লেইনস্থ বাসভবনে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
