যা টাকা ছিল ওষুধ কিনতে শেষ, হাসপাতালের বিল দিব কিভাবে-নবজাতের বাবা

অভি পাল (আমাদের দিগন্ত প্রতিবেদক)

কাজ করি ভাতের হোটেলে। প্রতিদিন রোজগার হয়না।যেদিন কাজ থাকে সেদিন রোজগার হয়,আর যখন কাজ থাকে না সেদিন রোজগার  হয় না।এখন রোজার মাস,তাই হোটেলে ভাত বিক্রি বন্ধ, তাই রোজগার ও হয় না। প্রতি মাসে সামান্য রোজগার হয়। যা রোজাগার করি তা দিয়ে কোনরকমভাবে সংসার চলে। এক কথায় নুন আনতে পান্তা ফুরাই। কথাগুলো বলছিলেন একসঙ্গে তিন সন্তানের বাবা হওয়া দিনমজুর আবু বক্কর সিদ্দিক।

৯ মার্চ (শনিবার) সকালে নোয়াখালী জেলা শহরের আমেরিকান স্পেশালাইজড হসপিটালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন শিশুর জন্ম হয় তাদের । নবজাতক দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তাদের নাম রাখা হয়েছে- ইয়াশ, আয়েশা ও তানিশা।

নবজাতকের মা মারজান আক্তার বলেন,আমার একটি সন্তান পানিতে পড়ে মারা গেছে, তারপর একসাথে তিনটা বাচ্চা হয়েছে আমার, আমার খুবই খুশি লাগছে।, কিন্তু  হাসপাতালের এত বিল দেখে খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছি, কারন আমরা তো গরিব মানুষ। এত বিল কিভাবে পরিশোধ করব।

একসাথে তিন সন্তানের জন্ম হওয়ায় খুশি হলেও দিনমজুরের আবু বকরের চিন্তা এখন হাসপাতালের বিল নিয়ে।

৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। এতে বিল হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। হাসপাতাল ছাড় দিয়ে ৬৫ হাজার টাকা বিল করা হয়েছে।হাসপাতালের এত বিল দেওয়ার মতো অবস্থা নেই বলে জানান দিনমজুর আবু বকর সিদ্দিক।

সিদ্দিক বলেন, যা টাকা ছিল সিজার করার আগে ওষুধ ও বিভিন্ন সামগ্রী কিনতেই শেষ হয়ে গেছে। ক্লিনিকের বিল ৬৫ হাজার টাকা দিতে হবে। সেটা কীভাবে দেব, এটা নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। আমার স্ত্রীর ইনফেকশন হয়েছে।

 

আমেরিকান স্পেশালাইজড হসপিটালের কতৃপক্ষ জানান  বলেন, তিনটা নবজাতক হওয়ায় বিলটা বেড়ে গেছে।পরিবারের আর্থিক অবস্থা দেখে ৯ দিনে ৮৫ হাজার টাকা বিল হলেও । হাসপাতাল ছাড় দিয়ে ৬৫ হাজার টাকা বিল করা হয়েছে।