দীঘিনালায় অপহৃত কাঠ ব্যাবসায়ী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

 

শান্ত বড়ুয়,  প্রতিনিধি, দীঘিনালা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে অপহৃত কাঠ ব্যবসায়ী আমিনুল হক ভাসানীকে ১২ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধারসহ দুই অপহরণ কারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং’এ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান,ভিকটিম কাঠ ব্যবসায়ী আমিনুল হক ভাসানী (৭০) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইদ্রাকপুরের মৃত আহসান উল্লাহ বেপারীর ছেলে। ভিকটিম গত ২৯ মার্চ রাতে কাঠ ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে ৩০ মার্চ সকালে দীঘিনালা বাস টার্মিনালে পৌঁছেন। সেখানে লোকজনদের কাছে কাঠ ব্যাবসায়ীদের খোঁজ নেওয়ার সময় ২ অজ্ঞাত ব্যক্তি বাগান দেখানোর কথা বলে জামতলী বাঙালি পাড়া কবরস্থানের পশ্চিমে মোফাজ্জলের টিলার সেগুন বাগানে নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে আসামিদের সাথে আরও ৫ জন যোগ দেয়। তারা ভিকটিমকে মারধর করে ভিকটিমের মেয়ের মুঠোফোনে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। বিষয়টি ভিকটিমের মেয়ে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধরকে অবগত করলে তিনি স্বশরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন৷

দীঘিনালা থানার ওসি নুরুল হকের নেতৃত্বে একাধিক চৌকস টিম জামতলী এলাকায় দূর্গম পাহাড়ে ঘটনা অনুসন্ধান, প্রাথমিক সনাতন পদ্ধতিতে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ পূর্বক সায়েন্টিফিক ইনভেস্টিগেশনের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১২ ঘন্টার মধ্যেই (৩০ মার্চ) অপহৃত কাঠ ব্যবসায়ী (ভিকটিম) আমিনুল হক ভাসানী (৭০) কে জামতলীস্থ দূর্গম পাহাড়ী এলাকা মোফাজ্জলের টিলার কেচিং হতে উদ্ধার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করে।

পাশাপাশি সায়েন্টিফিক ইনভেস্টিগেশনের মাধ্যমে জামতলী বাঙালি পাড়ার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেনকে ভিকটিমের সামনে আনলে তাকে আসামি হিসেবে সনাক্ত করেন ভিকটিম।

আসামি রাকিবের স্বীকারোক্তি ও তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আরেক আসামি মোঃ সহিদুল হোসেন (৪০) কে উপজেলার কাঁঠালতলী এলাকা হতে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মুক্তা ধর আরও জানান, অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য জোর অভিযান চলমান আছে। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। সেইসাথে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।