তিন পার্বত্য জেলায় ‘ভয়াবহ দাঙ্গার’ শঙ্কা

 আমাদের দিগন্ত প্রতিবেদক

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইএসপিআর অনতিবিলম্বে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়েছে।

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে আইএসপিআর। বিবৃতিতে বলা হয়, যথাযথ তদন্ত করে এসব ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিবৃতিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, ‘গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয়  উচ্ছৃঙ্খল জনগণের গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামে একজন যুবক নিহত হন। পরে সদর থানা-পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দীঘিনালা কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি দীঘিনালার বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কয়েক সন্ত্রাসী মিছিলের ওপর হামলা করে ও ২০ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এর প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ জনতা বোয়ালখালী বাজারের কয়েকটি দোকানে আগুন দেয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আজ শুক্রবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা সদরে ‘‘সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের’’ ব্যানারে স্থানীয় জনসাধারণ রাঙামাটি জিমনেশিয়াম এলাকায় সমবেত হয়। এ সময় ৮০০ থেকে ১০০০ জন উত্তেজিত জনসাধারণ একটি মিছিল বের করে বনরুপা এলাকার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে এবং বনরুপা বাজার মসজিদ, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সিএনজি অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল এবং বেশকিছু দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে করে উভয় পক্ষের বেশকিছু লোকজন আহত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙামাটি জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’