আওয়ামীলীগ নেতা আজিজের বিরুদ্ধে ভূমি আইনে মামলা

পটিয়া প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মনসা গ্রামের মুহাম্মদ নুরুল আলমের ছেলে আজিজুল ইসলাম আজিজের (৩৪) বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন তারই বড় ভাই মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (৪৭)। গত ১৩ই জানুয়ারী সি আর মামলা নং ৪৭/২০২৫ ইংরেজি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালত, পটিয়া

মামলার বাদী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আসামীগণ একদলবদ্ধ কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, প্রতারণা পূর্বক চাঁদা আদায়কারী, জোর জুলুমবাজ, চোরাই দলের সক্রিয় সদস্য, , চিহ্নিত চাঁদাবাজ, ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলের ভূমিদস্যু দলের গ্যাং লিডার, পরের ধন লোভী, পরের সম্পত্তি জোর পূর্বক আত্নসাৎ করা তাহাদের একমাত্র নেশা ও পেশা এবং আইনের প্রতি মোটেই আস্থাশীল নহে বলে জানা যায়

আজিজের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে দীর্ঘদিন ধরিয়া নিজেকে এম.বি.বি.এস (চমেক), বিসিএস) ও এমএস (নিউরো সার্জারী) হিসাবে ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করিয়া এবং আত্মীয়সহ
বিভিন্ন লোকজনকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলিয়া টাকা আত্মসাৎ করিয়া আসিতেছেন।

অভিযোগকারী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম অভিযোগে আরো বলেন, তাহার দখলীয় সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখলে রত থাকিয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করিয়া আসিতেছে। দীর্ঘদিন ধরিয়া তাহার ব্যবসায়িক কারণে পরিবারসহ চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করিয়া আসিতেছেন এবং মাঝে মাঝে তাহার ভোগ দখলীয় তপশীলোক্ত সম্পত্তিতে আসিয়া বসবাস করিতে থাকেন। দখলীয় সম্পত্তি মামলার আসামীগণ জবর দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরিয়া অপচেষ্টায় লিপ্ত রহিয়াছে । মামলার আসামীগণ প্রায়ই সময় ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হইয়া মামলার বাদী / অভিযোগকারী ও তাহার পরিবারের সদস্যদেরকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করিতে থাকেন এবং কারণে অকারণে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত থাকেন। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া অভিযোগকারী বেশ কয়েকবার স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়া স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসার চেষ্টা করিলে মামলার আসামীগণের একঘুয়েমির কারণে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা সম্ভবপর হয় নাই। তারই ধারাবাহিকতায় এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া গত- ১১-০১-২০২৫ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ০৮:০০ ঘটিকার সময় মামলার অভিযোগকারী ও তাহার পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে মামলার আসামীগণসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া একই উদ্দেশ্য সাধনে, বে-আইনি জনতাবদ্ধ হইয়া মামলার বাদী / অভিযোগকারীর দখলীয় বসত ঘরের পাকা দেওয়াল ভাংচুর করিয়া ঘরের ভিতর অনধিকার প্রবেশ করিয়া তাহার বসত ঘরের দামী বিভিন্ন জিনিসপত্র ও দামী আসবাবপত্র যাহার আনুমানিক মূল্য- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা হইবে নিয়া যায় এবং সেমি পাকা বসত গৃহ সম্পূর্ণ ভাংচুর করিয়া ভাংচুরকৃত পাকা দেওয়ালের ইট, টিন ইত্যাদি সমুদয় জিনিসপত্র গাড়ি ভর্তি করিয়া নিয়া যায় যাহার আনুমানিক মূল্য- ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকার ক্ষতিসাধন করেন । পরবর্তীতে সিরাজের বসত ঘরের আশে পাশের লোকজন মামলার বাদী / অভিযোগকারীকে উক্ত ঘটনার বিষয়ে অবগত করিলে মামলার বাদী / অভিযোগকারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া উক্ত ঘটনার বিষয়ে সত্যতা দেখিতে পাইয়া মামলার আসামীগণের নিকট উক্ত ঘটনার বিষয়ের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে মামলার আসামীগণ ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হইয়া মামলার বাদী / অভিযোগকারীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করিয়া মামলার বাদী / অভিযোগকারীকে মারধর করিতে উদ্যত হন। ঐ সময় মামলার বাদী / অভিযোগকারী এবং মামলার আসামীগণের শোর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসিলে মামলার আসামীগণ উক্ত স্থান হইতে দ্রুত সরিয়ে যেতে বাধ্য হন এবং যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করেন যে, উক্ত ঘটনার বিষয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করিলে, কোন মামলা মোকদ্দমা করিলে কিংবা আইনের আশ্রয় গ্রহণ করিলে ইহার পরিণতি খুবই ভয়াবহ হইবে এমনকি মামলার বাদী / অভিযোগকারী ও তাহার পরিবারের সদস্যদেরকে অপহরণ করিয়া লাশ গুম করিবে, মামলার বাদী / অভিযোগকারীকে নারী নির্যাতন মামলা সহ বিভিন্ন ধরনের মামলা মোকদ্দমায় জড়িত করিবেন বলেও জানা যায়।