আমাদের দিগন্ত প্রতিবেদক
এক সময় তাঁর উষ্ণ আবেদনে থরহরি ছিল বলিউড। তার পর হঠাৎই হারিয়ে গেলেন পর্দা থেকে। উঠল মাদক পাচারের অভিযোগ। যদিও সে সব ফুৎকারে উড়িয়ে তিনি বার বার বলেছেন, তিনি আধ্যাত্মিকতায় আকৃষ্ট। আর এ বার মহাকুম্ভ মেলায় একেবারে দুধ স্নান সেরে সন্ন্যাস নিয়ে ফেলেছেন মমতা কুলকার্নি।
এ যেন উড়ে এসে জুড়ে বসা! যার ভূমিকা নিয়ে একসময় নানা প্রশ্ন, নানা বিতর্ক সেই মমতা কুলকার্নি মহাকুম্ভ এসে হঠাত্ করে সন্ন্যাসিনী বনে গেলেন! পেয়ে গেলেন নতুন পরিচয়ও! মহাকুম্ভের কিন্নর আখড়ায় মহামণ্ডলেশ্বর রীতির মাধ্যমে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন তিনি। মেনেছেন যাবতীয় নিয়ম।
তার পরই এক সাক্ষাৎকারে মমতা দাবি করেছেন, অতীতে তাকে যে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখা গিয়েছিল, তার কারণ তিনি সচেতন ছিলেন না। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই ওই ফোটোশুটের প্রস্তাব তার কাছে আসে এবং সে সময় তিনি এর মধ্যে আপত্তিকর কিছু থাকতে পারে বলে বুঝতেই পারেননি।
মমতা বলেন, সে সময় আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি। আমাকে ডেমি মুরের একটি ছবি দেখানো হয়েছিল, আমার কিছু অশালীন বলে মনে হয়নি। সেই বয়সেও মমতাকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল, জানিয়েছেন নিজেই। সেই সময় আমি বলেছিলাম, ‘আমি এখনও অক্ষতযোনি’। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেননি। কারণ সকলেই তো ভাবেন বলিউডে আসার জন্য যে কোনও পথ বেছে নিতে পারেন যে কেউ।
তবে নিজেকে ছাড়পত্র দিলেও মমতা অন্যদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, ‘হয়তো অর্থের জন্য অনেকেই এমন ভুল পথ বেছে নেন। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তা হয়নি। কারণ আমার বাবা প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।’
মমতা বলেন, আমি সে সময় যৌনতা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। নগ্নতার রূপ সম্পর্কেও অবগত ছিলাম না। তাই বুঝতেই পারিনি, এটা অশালীন।
১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় রাজকুমার সন্তোষীর ছবি ‘ঘাতক’ সেখানেই ‘কোয়ি যায়ে লে কে আয়ে’ গানে নেচেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, মাধুরী বা অন্য সকল নৃত্যশিল্পীই যখন নাচেন তখন তারা গানের কথা শুনতেই পান না। নিজের ভেতরের ছন্দে নেচে চলেন। আমিও সেই সময় গানের কথায় মনোনিবেশ করিনি।
সম্প্রতি সন্ন্যাস নিয়েছেন মমতা। কিন্তু অতীতে তাকেই দেখা গিয়েছিল অর্ধনগ্ন ফোটোশুটে। সে প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তিনি।
এদিকে, মাত্র ৭ দিনেই কিন্নড় আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদ হারালেন মমতা কুলাকার্নি। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকার অভিযোগ তুলেছেন কিন্নড় আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাস। সম্প্রতি এক বিবৃতি পেশ করে একথা জানিয়েছেন ঋষি অজয়। তবে শুধুই মমতা কুলকার্নি নয়, বহিষ্কার করা হয়েছে লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীকেও।
ঋষি অজয় দাসের অভিযোগ, তাকে না জানিয়েই মমতাকে আখড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এমনকী, তাঁর অজান্তেই মমতা মহামণ্ডলেশ্বর হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আখড়ার নিয়মভঙ্গ করা হয়েছে।