আমাদের দিগন্ত প্রতিবেদক
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিম সুলতানা ঝুমুরকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িতকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ ব্রিফিং ডাকে র্যাব।
মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুরের শাহরাস্তির ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়েই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন র্যাব-১১’র সিও তানভীর মাহমুদ পাশা।
সকালে (১ মে) র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২৯ এপ্রিল সকালে স্কুলে যায় ওই শিশু। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাবার পরও সে বাড়িতে ফেরেনি। তখন মেয়েটির মা স্কুলে যোগাযোগ করেন। সেখানে গিয়ে দেখেন, স্কুল ছুটি হয়েছে অনেক আগে। অন্য জায়গাতেও খোঁজাখুজি করেন। কিন্তু কোথাও পাননি।
ওই দিন বিকেলে ধান ক্ষেতের মধ্যে ওই শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
র্যাব কর্মকর্তা তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ৮ বছর বয়সী শিশুটি যে ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করতো, তা আগে থেকে জানতো অভিযুক্ত। ঘটনার দিন তাকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে চালায় পাশবিক নির্যাতন। তখন মেয়েটি চিৎকার করলে গলা টিপে হত্যা করা হয়।
তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত ঝুমুরকে সে চিনতো। এই সুযোগে ২৯ এপ্রিল সকালে ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ওত পেতে থাকে। ঝুমুর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে মফু তাকে রাস্তার পাশের ধানি জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ঝুমুর চিৎকার করার চেষ্টা করলে মফু তার মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। কোনও নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের কানে থাকা দুল ছিড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আসামি। এ ঘটনায় মামলা করলে মফু চাঁদপুরে পালিয়ে যায়।