অভি পাল:-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাননীয় ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিত বলেছেন, প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নতুবা তারা বিপথে পরিচালিত হবে। সনাতন ধর্ম পৃথিবীর সর্বপ্রথম এবং অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। সৃষ্টির আদি থেকে এ ধর্মের আবির্ভাব। যা পূর্বে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাই সনাতন ধর্মের দর্শন প্রতিটি জীবের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে যুক্ত আছে। পৃথিবীর প্রাচীন ধর্মমত হয়েও তাই আজও সনাতন ধর্ম সগর্বে ঠিকে আছে। সনাতন ধর্ম মানুষকে উদারতা ও মমত্ববোধের শিক্ষা দেয়। মানুষে মানুষে, ধর্মে-ধর্মে ও জাতিতে-জাতিতে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের মেলবন্ধন রচনা করে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সকল ধর্মের মানুষের সম-অধিকার ও সমমর্যাদায় বিশ্বাসী। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট মঠ-মন্দির- দেবালয় এবং শ্মশান উন্নয়ন ও সংস্কার, ষষ্ঠ হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নরত গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, অস্বচ্ছল ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান, সেবায়েত ও পুরোহিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা, তীর্থ ভ্রমন, প্রাক-প্রাথমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালনাসহ নানাবিধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। শনিবার (১২ এপ্রিল ২০২৫) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন উত্তর পারুয়া ওঁ কার সনাতন মন্দির পরিচালিত নবদিগন্ত গীতা শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এই কথাগুলো বলেন।
মন্দির পরিচালনা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা উৎপল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অর্থ সম্পাদক প্রসূন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওঁ কার সনাতন মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মিঠুন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা পরিষদ (বাগীশিপ)-কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক শিপুল কুমার দে। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব লায়ন রিমন মুহুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন শারদাঞ্জলি ফোরাম-চট্টগ্রাম জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাস্টার অজিত কুমার শীল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগীশিপ-চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শুক্লদাশ, গীতা প্রশিক্ষক ও সংগঠক রাজ মহাজন, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা পরিষদ (বাগীশিপ)-রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাস্টার রাজীব দত্ত, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-রাঙ্গুনিয়া উপজেলার অর্থ সম্পাদক মিলন বিশ্বাস, বাগীশিপ-রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অনুজিৎ দে জিৎ, অভি দাশ, অনিক দে ছোটন, মন্দির পরিচালনা পরিষদের সহ-অর্থ সম্পাদক প্রণয় চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিকাশ দাশ প্রমুখ।