তন্নী বিশ্বাস:-চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু—এখনও দাঁড়িয়ে আছে যেন বৃদ্ধ এক অভিভাবক, কিন্তু ১৪ মে-তে তার এক নতুন জীবন শুরু হতে যাচ্ছে! আর এই জীবন শুরু হবে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত দিয়ে, যিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন নতুন সেতুর!
এটা কোন সাধারণ সেতু নয়, এটি চট্টগ্রামের সেরা আপগ্রেড। ৭০০ মিটার দীর্ঘ, ৬০ ফুট প্রশস্ত, আর ১২ মিটার উঁচু—এটা এমন একটি সেতু, যার মাধ্যমে চট্টগ্রাম আবার এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে! সেতুর স্থানে চলবে রেলপথ, সড়কপথ—এমনকি শহরের মানচিত্রে এটিই হবে এক নতুন "লাইফলাইন"।
এ সেতুর জন্য খরচ হচ্ছে ১১,৫৬০ কোটি টাকা, যার প্রায় ৭ হাজার কোটি আসবে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। ভাবুন তো—এক সেতুর জন্য এত টাকা! আর এই সেতু শুধু যোগাযোগের উন্নতি করবে না, বরং চট্টগ্রামকে বিশ্ব মানচিত্রে আরও শক্তভাবে অবস্থান নিতে সাহায্য করবে।
এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে। তবে প্রকল্পের জন্য এখনই প্রস্তুত হচ্ছে বিশাল পরিসরের কাজ, যেখানে সেতুর পাশাপাশি প্রায় ১০ কিলোমিটার নতুন সড়ক এবং ৬.২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্টও তৈরি করা হবে।
তবে, সেতুর নির্মাণ শুধু শহরের জন্য নয়, এটি হবে চট্টগ্রামের নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা! এই সেতু হয়ে উঠবে চট্টগ্রামের বিশ্ববাজারে আরও সহজ প্রবেশদ্বার, যা ব্যবসা, শিল্প, এবং পর্যটন খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
আর যেহেতু এটি দ্বৈত রেলপথ এবং দ্বৈত সড়কপথ নিয়ে তৈরি হবে, তাই চট্টগ্রামের সংযোগ শুধুমাত্র দেশের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রাম হবে এশিয়ার এক শক্তিশালী অর্থনৈতিক কেন্দ্র, যেখানে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য দ্রুত প্রবাহিত হবে এবং সারা বিশ্বের সঙ্গে আরও কার্যকরীভাবে যোগাযোগ করা যাবে।
এটিই হতে চলেছে চট্টগ্রামের নতুন পরিচয়, এক আধুনিক ও শক্তিশালী নগরীর প্রতিনিধিত্বকারী। কালুরঘাট সেতুর মাধ্যমে চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎকে নতুনভাবে ডিজাইন করা হবে, যা শহরের জন্য শুধু একটি অবকাঠামো নয়, বরং এটি হবে অর্থনৈতিক শক্তি ও উন্নতির এক নতুন ধারণা।