
অভি পাল:বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ? কেবল নামেই আছে!
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে মানুষ বলছে, “আধুনিক প্রযুক্তির যুগে থেকেও আমরা যেন হারিকেনের যুগে বাস করছি!” প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে একবার, যায় তিনবার—ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং, তা-ও বিনা নোটিশে। কখনো একটানা ৩-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, আবার কখনো দিনে ৮-১০ বার বিচ্ছিন্ন হয়।
বৃষ্টির ছিটেফোঁটা পড়লেই যেন বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ এলার্ম বাজে! হালকা মেঘ কিংবা বাতাস দেখলেই চলে যায় বিদ্যুৎ, আর কবে আসবে—তা থাকে অনিশ্চিত। রোদে গরমে যেমন বিদ্যুৎ থাকে না, বৃষ্টিতেও তার দেখা মেলে না—এই দ্বৈত দুর্দশায় মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে।শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করতে পারছে না, দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আগেভাগেই, আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। কেউ কেউ ব্যাটারি লাইট কিংবা হারিকেন কিনে নিচ্ছে পুরনো দিনের মতো করে।
সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো—এই পরিস্থিতির কোনো জবাবদিহি নেই। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায় না সুনির্দিষ্ট কারণ বা সমাধান। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে মেলে একটাই উত্তর—‘সার্ভিস লাইনে কাজ চলছে।’ কিন্তু সেই কাজ আর শেষ হয় না! এলাকার মানুষ বলছে, “প্রতিদিন বিদ্যুৎ না থাকলেও কেউ যেন দায় নিতে রাজি নয়!” অনেকে আবার বিদ্যুৎ বিভাগের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, “বিদ্যুৎ যেন আমাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে।”
সাধারণ মানুষ এখন জানতে চায়—আমরা কি আলোর বাংলাদেশে বাস করছি? নাকি শহরকেন্দ্রিক সুবিধার বাইরে পড়ে থাকা একটি অবহেলিত অঞ্চল? বাঁশখালীবাসীর দাবি, যত দ্রুত সম্ভব যেন এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়—না হলে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।