অভি পাল:জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। গত দেড় বছরে রাখাইনে সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সংঘাতে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এনটিএফ সভায় জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা জানান, আর্থিক সংকটের কারণে শরণার্থী ক্যাম্প পরিচালনায় বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাতিসংঘ খাদ্য তহবিলের (ডব্লিউএফপি) তথ্য অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরের পর ক্যাম্পে খাবারের জোগান দেওয়ার মতো অর্থ নেই। সেপ্টেম্বরের পর এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহেরও ব্যবস্থা থাকবে না, এতে ক্যাম্প এলাকায় গাছপালা কাটা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন দেশ যে অর্থসহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়, তার প্রায় অর্ধেকই তারা পূরণ করে না। পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু যাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্ব না হারায়, সে জন্য সরকার জাতিসংঘের মাধ্যমে নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’
এনটিএফ সভার আগে ঢাকায় বিদেশি দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রধানদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রসচিব। এ সময় তিনি ক্যাম্প পরিচালনার জন্য আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বান জানান।