অভি পাল:বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আধুনিক প্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক প্রমাণভিত্তিক পদ্ধতি ও মানবিক সেবার উচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে যে কজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন — তাঁদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল নাম কক্সবাজারের কৃতি সন্তান ডা. এম এ ফজল। চিকিৎসা জগতে তাঁর সততা, দক্ষতা, গবেষণামুখী চিকিৎসাপদ্ধতি ও অসামান্য সফলতার প্রতিফলনেই বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাঁকে স্বাস্থ্য ও ত্রাণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তাঁর এ অর্জন কক্সবাজার তথা সমগ্র দেশের হোমিওপ্যাথি অঙ্গনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
প্রায় ১২ বছরের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজড রেপার্টরি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যথামুক্ত, সূক্ষ্ম ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। ক্যান্সার, কিডনি, টিউমার, অর্থোপেডিক ও যৌন জটিলতাসহ বহু দুরারোগ্য রোগী তাঁর চিকিৎসা গ্রহণ করে সফলভাবে সুস্থতা ফিরে পেয়েছেন। রোগীর পূর্ণ ইতিহাস সংগ্রহ ও বিশদ বিশ্লেষণে তাঁর নিখুঁত দক্ষতা তাঁকে জাতীয় পর্যায়ে আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা, প্রাক্তন সভাপতি এবং আজিজুর রহমান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিমের সুযোগ্য শিষ্য হিসেবে তিনি গুরুর মূল্যবোধ ও চিকিৎসা দর্শন ধারণ করে এগিয়ে চলেছেন। তাঁর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে প্রতিষ্ঠা করেছেন সম্মানজনক ‘অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম হোমিও ক্লিনিক’, যা আজ আধুনিক হোমিও চিকিৎসার অন্যতম নির্ভরযোগ্য কেন্দ্র। পাশাপাশি তিনি Director – AK Homeo Clinic, Parents' Care School and College & Parents' Care Girls Hostel হিসেবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবকল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যতিক্রমী অবদান ও সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অর্জন করেছেন শেরে বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড (২০২২), সার্ক আউটস্ট্যান্ডিং পিস অ্যাওয়ার্ড (২০২২), ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড (২০২২)সহ অসংখ্য সম্মাননা। মানবতার সেবা ও স্বাস্থ্যসেবার নৈতিক উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করে হোমিও চিকিৎসাকে বিশ্বমানের উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার যে লক্ষ্য তিনি বুকে ধারণ করেন — তা অচিরেই দেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করবে, এমন প্রত্যাশা সকলের।