
দুর্জয় বড়ুয়া :স্বপ্ন পূরণ করতে হলে শুধু ডিগ্রি নয়, চাই কাজের ইচ্ছা, মাটির প্রতি ভালোবাসা এবং দৃঢ় মনোবল। আজকের অনেক তরুণ যেখানে শুধু চাকরির আশায় জীবন কাটিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিজের হাতে নিজের ভবিষ্যত গড়ে তোলেন। সাফল্য কারোর কাছে ধরা দেয় না—বরং যিনি চেষ্টা করেন, পরিশ্রম করেন, তিনিই সাফল্যের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ পান। তরুণরা যদি গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে, তাহলে শহরমুখী বেকারত্ব কমবে, বদলে যাবে দেশের অর্থনীতির চিত্র। ঠিক এই ভাবনাকেই নিজের জীবনে বাস্তব করে তুলেছেন খাগড়াছড়ির দীঘিনালার জামতলীর তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. শাহপরান। তিনি প্রমাণ করেছেন—কৃষিই হতে পারে সফলতার সবচেয়ে নিরাপদ ও সম্ভাবনাময় পথ।
দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র শাহপরান। পড়ালেখার ফাঁকে বাড়ির পাশে তিন কানি জমিতে সবজি চাষ, হাঁসের খামার এবং গবাদিপশুর একটি ছোট খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। মাত্র এক কানি জমিতে লাউ চাষ করেই এ মৌসুমে আয় করেছেন প্রায় ৭০ হাজার টাকা। সাগরকলা, অন্যান্য মৌসুমি সবজি এবং সাত–আটটি গরু নিয়ে তাঁর কৃষি উদ্যোগ দিন দিন বড় হচ্ছে।
শাহপরানের এ পথে অবিচল সঙ্গী তাঁর বাবা পশু চিকিৎসক মো. আফসার। বাবা-ছেলের যৌথ উদ্যোগ এলাকায় এক অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছে। শাহপরান বলেন, “অন্যের চাকরির আশা না করে নিজেই কর্মসংস্থান তৈরি করাই আমার লক্ষ্য। কৃষি আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।” স্থানীয়দের আশা—এমন শিক্ষিত তরুণেরা কৃষিকে এগিয়ে নিলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আসবে নতুন সম্ভাবনা।





