
অভি পাল: “মরহুম জাফরুল ইসলাম চৌধুরী কেবল একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। ত্যাগের রাজনীতিতে তিনি এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম, আর একারণেই তিনি বাঁশখালীর গণমানুষের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছেন।” – বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই কথাগুলো দিয়ে তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শুক্রবার, ১৪ই নভেম্বর, বাঁশখালী পাইলট হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত এক বিশাল স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণে বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।
আমীর খসরু তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, “জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ক্ষমতার রাজনীতি করেননি, তিনি রাজনীতি করেছেন মানুষের কল্যাণের জন্য। বাঁশখালীর প্রতিটি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তাঁর হাতের ছোঁয়া লেগে আছে। দল ও আদর্শের প্রতি তাঁর আনুগত্য ছিল প্রশ্নাতীত। নানা ধরনের চাপ ও প্রলোভনের মুখেও তিনি কখনও মাথানত করেননি। দেশের এই ক্রান্তিকালে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে তাঁর মতো অভিজ্ঞ ও সাহসী নেতার অনুপস্থিতি আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করেই আমাদের এই সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
এই স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জনাব আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া এবং সদস্য সচিব জনাব লায়ন হেলাল উদ্দীন,তার পুত্র মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী ও জহিরুল ইসলাম চৌধুরী জাহাঙ্গীর প্রমুখ
স্মরণ সভায় উপস্থিত অন্যান্য বক্তারাও প্রয়াত নেতার কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তারা বলেন, জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়।





