পাহাড়ি জনপদ দীঘিনালায় শীতের হা’না: গরম কাপড়ের বাজারে জমজমাট বিকিকিনি

দীঘিনালা প্রতিনিধি : দূর্জয় বড়ুয়া
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় প্রকৃতিতে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টে গেছে এখানকার বাজারগুলোর চিত্র। সকালের রোদে কিছুটা উষ্ণতা থাকলেও বিকেলের পর থেকে পাহাড়ি এই জনপদে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে, সঙ্গে থাকে হিমেল বাতাস। তীব্র শীত থেকে বাঁচতে তাই সাধারণ মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন দীঘিনালা সদর, বোয়ালখালী, লারমা স্কোয়ার, মেরুং ও বাবুছড়া বাজারের কাপড়ের দোকানগুলোতে। অভিজাত শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাত—সব জায়গাতেই এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নতুন সোয়েটার ও জ্যাকেটের পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘জাহাজের কাপড়’ বা পুরাতন গরম পোশাক।
ব্যবসায়ীদের প্রাক্কলন অনুযায়ী, এবারের মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ২০ কোটি টাকার শীতবস্ত্র কেনাবেচা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ফুটপাতে হকাররা ৫০ থেকে ১০০ টাকায় শীতবস্ত্র বিক্রি করলেও বিপণিবিতানগুলোতে মানভেদে দাম ভিন্ন। বর্তমানে ছেলেদের জ্যাকেট ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা, সোয়েটার ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা এবং শিশুদের সোয়েটার ১৫০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লেপ-তোশক ও কম্বল বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, এখন দিনে গড়ে ২০-৩০ হাজার টাকা বিক্রি হলেও শীত বাড়লে তা লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তবে শীতের পোশাক কিনতে এসে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। বোয়ালখালী বাজারের ব্যবসায়ী রকি দে জানান, পাইকারি বাজারে দাম চড়া থাকায় খুচরাতেও এর প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে ক্রেতা আমেনা আক্তার ও শান্তিময় চাকমা অভিযোগ করেন, গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বেশ বাড়তি। তবুও সন্তানদের কথা চিন্তা করে এবং শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কায় দরদাম করেই সাধ্যমতো গরম কাপড় সংগ্রহ করছেন তারা। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, শীত যত জেঁকে বসবে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেচাকেনা ততই জমজমাট হবে।