আমাদের দিগন্ত ডেস্ক: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, তারা এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে ফেরানোর জন্য শনাক্ত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আশ্রিত এই শরণার্থীদের নিজ ভূমিতে ফেরানোর লক্ষ্যে নতুন করে পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সামরিক প্রশাসন।
বাংলাদেশ সরকার শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে সরকার কূটনৈতিকভাবে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে, যা এই অগ্রগতির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক মহলও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “বাংলাদেশের অবস্থান সবসময়ই স্পষ্ট—আমরা চাই রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যাক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় আমরা এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিচ্ছি।”
এদিকে, কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রত্যাবাসন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া ফিরতে চান না, তবে অনেকেই দীর্ঘদিন পর নিজ মাতৃভূমিতে ফেরার আশায় রয়েছেন।
বশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের কৌশলী কূটনৈতিক তৎপরতা এবং আন্তর্জাতিক চাপের ফলে মিয়ানমার এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর থাকবে—এই প্রত্যাবাসন কতটা স্বচ্ছ, নিরাপদ ও টেকসইভাবে বাস্তবায়িত হয় তার ওপর।