
রিমন মালাকার: সরকারি হাসপাতালে এখনো মানবিকতার জায়গা আছে—এই বার্তাই যেন আবারও প্রমাণ করলেন ডা. স্বরুপানন্দ চক্রবর্তী।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক দরিদ্র রোগীর হাতের হাড় ভেঙে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এই অর্থোপেডিক কনসালটেন্ট। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রোগীর হাতে প্লাস্টার করে চিকিৎসা নিশ্চিত করেন তিনি।
রোগীটির পরিবার আর্থিক সংকটে থাকায় তারা ভয়ে চিকিৎসা নিতে পারছিলেন না। ঠিক তখনই এগিয়ে আসেন ডা. স্বরুপানন্দ। রোগীর মুখে হাসি এনে দেন নিজের সেবামূলক মানসিকতা দিয়ে।
চিকিৎসাকাজে পাশে ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স তন্দ্রা দেওয়ানজী এবং অপারেশন থিয়েটার অ্যাটেনডেন্ট মোঃ সালাউদ্দিন। তাদের সহযোগিতায় নিরবিচারে সম্পন্ন হয় চিকিৎসা প্রক্রিয়া।
এই সময় সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বোয়ালখালীর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি। তার দিকনির্দেশনায় স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে সেবায় যুক্ত হন।
স্থানীয়রা বলছেন, “এমন দৃষ্টান্ত সচরাচর দেখা যায় না। আজ বোয়ালখালীর মানুষ নতুনভাবে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি ভরসা পেল।”
সরকারি হাসপাতাল মানেই অবহেলা—এই চিরাচরিত ধারণাকে ভেঙে দিয়ে ডা. স্বরুপানন্দ চক্রবর্তী এবং তার সহকর্মীরা যেভাবে দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এটি শুধু একটি চিকিৎসা নয়—এটি এক ধরনের সামাজিক বার্তা, যে চিকিৎসা পণ্য নয়, এটি একটি সেবা।
বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমন উদ্যোগ যেন আরও বিস্তৃত হয়—এটাই প্রত্যাশা স্থানীয় জনগণের।