
আনোয়ারা প্রতিনিধি
চট্রগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৭ নং সদর ইউনিয়নের জয়কালী বাজার এলাকায় নিজের জায়গায় স্থাপিত মার্কেট উন্নয়ন করতে গেলে জায়গার প্রকৃত মালিককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।
আজ রবিবার দুপুরে উপজেলার কালাবিবির দিঘী মোড়ের দোহা কনভেনশন সেন্টারে দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলনটি করেছেন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ইলিয়াছ খান।
লিখিত বক্তব্যে ইলিয়াছ খান জানান, আনোয়ারা উপজেলার সদরে তাদের ক্রয়কৃত জায়গায় বিগত প্রায় ৫০ বছর ধরে গড়ে তোলা মার্কেটের উন্নয়ন করতে গেলে স্থানীয় মিলন চক্রবর্তীর ছেলে দেবাশীষ ও তাদের উত্তরসূরীরা কিছু কুচক্রীমহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ধর্মীয় আবেগকে ব্যাবহার করে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে বারবার হয়রানী করে তাদের মার্কেট উন্নয়নে বাধাঁ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এই বিষয়টি অনেক আগেই মিমাংসিত। গত ১২ই জুলাই ২০০৪ ইংরেজিতে যুগ্ন জেলা আদালত পটিয়ার আদেশক্রমে স্থানীয় শালিশ কারকদের মাধ্যমে গত ১১ই এপ্রিল ২০০৫ ইং তারিখে স্থানীয় গণ্যমান্য শালিশকারকদের উপস্থিতিতে একটি শালিশি চুক্তিপত্র রেজিষ্ট্রি হয়। যার দলিল নং ১২২৯।এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ই অক্টোবর ২০০৯ ইংরেজিতে শালিশি রোয়েদাদ মূলে শালিশিকারকগণ যার যার অংশ তাদেরকে রেজিষ্ট্রি দলিলমূলে উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।যার দলিল নং ৩২২৩।তারই ধারাবাহিকতায় গত ১লা জুন এওয়াজ নামা দলিল সম্পাদন হয়।যার দলিল নং ২৫৮৪। যাহার সকলকিছু আনোয়ারা সাব- রেজিষ্ট্রি অফিসে লিপিবদ্ধ আছে। এতকিছু দাললিক প্রমাণ থাকা শর্তেও আমি যখনি মার্কেট এর উন্নয়ন কাজ করতে যায় তখনি তারা আবার ইসকনকে ব্যাবহার করে আমার কাজে বাধা সৃষ্টি করে। তাদের মিথ্যা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রসাশন বারবার আমাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকা সত্বেও বারবার আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। তারা আদালতের কাছে যতবারই নিষেধাজ্ঞা চায় ততবারই আদালত কাগজপত্র বিচার করে তা খারিজ করে দেই। তাই বাধ্য হয়ে তারা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বলে বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন এবং তিনি আশা করেন প্রকৃত সত্যের মাধ্যমে তারা ন্যায় বিচার পাবে।
এসময় তার সাথে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।