অ’শুভ বি’না’শের মন্ত্রে মুখর চাটগাঁ, দীপাবলির আলোয় উদ্ভাসিত সারাদেশ

মহাশক্তির রুদ্ররূপী দেবী কালীর আবাহনে আজ মুখর সারাদেশ। অমাবস্যার নিকষ কালো আঁধার দূর করে মঙ্গলালোকে চরাচর উদ্ভাসিত করার ব্রত নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মেতেছেন শ্যামা পূজা ও দীপাবলির উৎসবে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠার কামনায় আজ সোমবার মধ্যরাতে অনুষ্ঠিত হবে শক্তির দেবী শ্যামার পূজা। একই সঙ্গে অন্ধকার তাড়াতে ঘরে ঘরে জ্বলে উঠবে সহস্র মাটির প্রদীপ, যার আলোকচ্ছটায় দূরীভূত হবে সকল অকল্যাণ। এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের মন্দির ও মণ্ডপগুলোতে বিরাজ করছে এক আধ্যাত্মিক ও উৎসবমুখর আবহ।
উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পড়েছে বিপুল সাড়া। নগরীর ঐতিহ্যবাহী চট্টেশ্বরী কালী মন্দির, গোলপাহাড় মহাশ্মশান, সদরঘাট কালীবাড়ি, দেওয়ানেশ্বরী মন্দির, জে এম সেন হলসহ বিভিন্ন মণ্ডপে সকাল থেকেই নেমেছে ভক্তদের ঢল। বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত মন্দির প্রাঙ্গণ আর ধূপ-ধুনার পবিত্র গন্ধে এক স্বর্গীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মধ্যরাতে তান্ত্রিক সাধনার মধ্য দিয়ে মায়ের পূজা অনুষ্ঠিত হবে, দেবীর পায়ে অর্পণ করা হবে জবা ফুল, অনুষ্ঠিত হবে হোমযজ্ঞ ও চণ্ডীপাঠ। ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি দিয়ে নিজের, পরিবারের ও দেশের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করবেন।
শ্যামা পূজার সঙ্গে একাত্ম হয়ে পালিত হচ্ছে আলোর উৎসব দীপাবলি। এই দিনে শুধু অশুভ শক্তিকেই নয়, জীবনের সকল অন্ধকার, দুঃখ ও গ্লানি দূর করার কামনায় প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। এই আলো মঙ্গলের, এই আলো সম্প্রীতির। সন্ধ্যায় প্রতিটি ঘর, মন্দির ও শ্মশানঘাট আলোকিত হবে মাটির প্রদীপের স্নিগ্ধ আলোয়, যা অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর শাশ্বত জয়ের প্রতীক। সব মিলিয়ে, শক্তির আরাধনা ও আলোর রোশনাইয়ে এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে এবারের শ্যামা পূজা ও দীপাবলি উৎসব