আমাদের দিগন্ত প্রতিনিধি
বিএনপি’র কারা কারানির্যাতিত নেত্রী ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচারীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই আমরা এ রাষ্ট্রে আবার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। এ গণতন্ত্রের স্বাধীনতার অপব্যবহার কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বর্তমানে রাষ্ট্র ও বিএনপিকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করতে হবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ আংশিক) সংসদীয় আসনে দলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত নিহতদের পরিবারের সদস্য, কোরআনে হাফেজদের সংবর্ধনা এবং সর্বসাধারণের সম্মানার্থে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সৈয়দ ইকবাল ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম. জি কিবররীয়া’র যৌথ সঞ্চালনায় বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা আরও বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায় রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপি’র ৩১’দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-৫ সংসদীয় আসন হাটহাজারী ও বায়েজিদ আংশিকের প্রতিটি এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছি।এই আসনে আমার পিতা জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিনিধি হয়ে জনগণের ভোটে চারবার সংসদ সদস্য ছিলেনং সেই ধারাবাহিকতায় দল আমাকে ২০১৮’সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন দেয় কিন্তু জোটগত কারণে ইব্রাহীম সাহেবকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে সাধারণ জনগন এবং নেতাকর্মীদের পাশে আমি সর্বোচ্চ ছিলাম আছি এবং থাকবো। করোনা পরিস্থিতিতে হাটহাজারীতে প্রায় ৪০’হাজার মানুষকে জাতীয়তাবাদী দলের সৌজন্যে আমি সার্বিক সহযোগিতা করি। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দলীয় নেতাকর্মী, সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং হেফাজতে ইসলাম আলেমদের সর্বোচ্চ আইনি সহযোগিতা করি। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী হাটহাজারীতে দলের ব্যানারে সর্বোচ্চ কর্মসূচি পালন করেছি এবং এখনো করে যাচ্ছি।
ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামে উত্তর জেলা বিএনপি’র সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব সোলাইমান মঞ্জু, সাবেক জেলা বিএনপি নেতা মির্জা শহিদুল্লাহ বাবুল, প্রবীণ বিএনপি নেতা আবুল হোসেন চেয়ারম্যান, উপজেলা জামাতের আমির ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মো. আলী, পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাড. মাসুদুল আলম, বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. ফোরকান, বায়েজিদ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আকরাম উদ্দিন পাভেল, রবি চৌধুরী, ফিরোজ খান, মোর্শেদ আলম, খোরশেদ আলম, মো. মঞ্জু, মো. রাশেদ, কাইয়ুম মেম্বার, আবু তাহের, মো. আলমগীর, একরাম হোসেন, মো. মানিক, জাকির হোসেন, মো. সেলিম, মো. ইব্রাহীম, মো. নাসির, মো. মঈনু, ইয়াছিন মিয়া, মো. দেলোয়ার, মো. সাইফুদ্দীন, বায়েজিদ থানা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আলম, লাকী আকতার, হোসনে আরা, খুরশীদা আকতার, কৃষকদল নেতা কামাল উদ্দিন, শ্রমিক দলনেতা এনাম, যুবদলনেতা রাজ্জাক, ছাত্রদলনেতা মিজান, রিজভী, জামশেদ, সাকিব, মিরাজসহ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।