মিরসরাইে ঘর বানালেন মানুষ, দখল নিল গোখরা সাপের পরিবার!

মিরসরাই প্রতিনিধি

দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকেন দেলোয়ার হোসেন ও আলী হোসেন। দুই ভাই মিলে কষ্টের অর্জিত প্রবাসের আয় দিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি স্বপ্ন কুটির। সেই কুঁটিরে বসবাস করার আগেই বেধেছে সাপের বাসা। তাদের সেই স্বপ্নের কুটির থেকে একে একে ৬৯ টি গোখরা সাপের চানা উদ্ধার করা হয়েছে। সাপ আতঙ্কে দিন কাটছে পরিবারের সদস্যসহ বাড়ির অন্য পরিবারের লোকজনের মাঝে। শুধু তাই নয় এই আতঙ্ক জড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়।

মিরসরাই উপজেলার দক্ষিণ ওয়াহেদপুর গ্রামের শাহপরান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অনেকগুলো সাপের ছানা উদ্ধার করা হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি সাপের মা। কিন্তু প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন একটি গোখরা সাপ একসাথে সর্বোচ্চ ২০-২৫ তা বাচ্চা দেওয়ার সক্ষমতা থাকে। তাহলে এ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে এখানে একটি সাপ নয় বেশ কয়েকটি সাপের মা রয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন ওই ঘরের পাশ থেকে দুই একটি করে সাপের চানা উদ্ধার করা হচ্ছে।

প্রবাসীদের বড় ভাই আলাউদ্দিন বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম কোন বিষমুক্ত সাধারণ সাপ। কিন্তু পরে দেখছি এগুলো সব বিষাক্ত গোখরা সাপের ছানা । রাত হলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরিবারের ছোট ছোট বাচ্চাগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি সবসময়। সাপ গুলোকে মেরে ফেলা হয়েছে।

স্থানীয় যুবক আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার একটি প্রবাসী ঘরে ৭০ টি গোখরা সাপের ছানা পাওয়া গেছে। কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি সাপের মাকে। এ নিয়ে পরিবার ও এলাকার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

রিমন ভূঁইয়া নামের আরেক স্থানীয় যুবক বলেন, সাপ এগুলা দেখার পরে স্থানীয়দের মাঝে হইচই পড়ে যায়। পরে গিয়ে দেখলাম একটি গর্ত থেকে ৬৯ টি সাপ গোখরা সাপের চানা উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এলাকার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মিরসরাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাকির উল ফরিদ বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ার কারণে সাপের ছানাগুলো এখানে জন্ম নিয়েছে। কিন্তু এগুলো বিষধর সাপ ছোবল দিলেই ঘুরতে পারে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা। তাই সাপুড়ে ও বন কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, একটি গোখরা সাপ সর্বোচ্চ একসঙ্গে ২০ থেকে ২৫ টা বাচ্চা দেওয়ার সক্ষমতা থাকে।