
অভি পাল:- রাস্তায় রক্ত!চট্টগ্রাম শহরের অলি গলির কোণে থরথর কম্পন, স্কুলের সামনে সন্ত্রাসের রাজত্ব, বাজারে আতঙ্কিত জনতা!
চট্টগ্রাম আজ কাঁপছে কিশোর গ্যাংয়ের খুনে উল্লাসে।স্কুলের ব্যাগ ফেলে কোমলমতি শিশুরা হাতে তুলেছে ছুরি, লোহার রড, বটি—এবার যেন শৈশব হারিয়ে গিয়েছে।
শুধু ছুরি নয়, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে কিশোররা এখন রাস্তায়, অলিগলিতে, স্কুল-কলেজের সামনে।কখনো পিস্তল, কখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহৃত হালকা অস্ত্র—সবই তাদের হাতে।চট্টগ্রামের অলিগলি, বাজার, প্রধান সড়ক—সবখানেই ভয় আর শঙ্কার মেঘ জমেছে।
চকবাজার, বাকলিয়া, পতেঙ্গা, আকবরশাহ, খুলশী—নাম উচ্চারণ করলেই কেঁপে ওঠে শরীর।’গ্রুপ’-এর নামে চলছে আধিপত্য বিস্তারের যুদ্ধ।ফেসবুক-টিকটকেও চলছে বাহিনী গঠনের প্রতিযোগিতা।কিশোরদের হাতে ছুরি-বটি তো আছেই, অনেকে আবার অগ্নেয়াস্ত্র আর মাদকও বহন করছে।রাত নামলেই চট্টগ্রামের আকাশ ঢেকে যায় সন্ত্রাসের ঘন অন্ধকারে।
প্রতিদিন খবরের শিরোনাম: “কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত”, “স্কুলছাত্র খুন”, “মাদকের টাকার জন্য ছিনতাই”।
স্কুল, কলেজ, বাজার, পার্ক—কোথাও আর নিরাপত্তা নেই। শিক্ষক, অভিভাবক, পথচারী—সবার বুকে আজ ভয় জমেছে।
একজন সচেতন নাগরিক হতাশ গলায় বলেন,”আজকের কিশোররা আর স্বপ্ন দেখে না, তারা শুধু হাতের মুঠোয় অস্ত্র দেখে। শহরের এই অবস্থা দেখে আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, ভবিষ্যৎ যে কোথায় গিয়ে থামবে!”
সাধারণ জনগণ তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন:”আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। কর্তৃপক্ষের উচিত এখনই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, নাহলে আমরা রক্ষা পাব না। প্রশাসনকে এখনই শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে!”
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। অনেক কিশোর গ্যাং সদস্যকে আটকও করা হয়েছে। তবে পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।”
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক অবহেলা, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, মাদকাসক্তি, প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং আইনের দুর্বল প্রয়োগ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার প্রধান কারণ।কিছু জায়গায় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়াও এদের বেপরোয়া করে তুলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নগরবাসীর প্রশ্ন—কখন নাগরিক জীবনে ফিরবে স্বস্তি? কখন মুক্তি মিলবে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াল ছায়া থেকে?