প্রবাল ভট্টাচার্য (প্রতিনিধি) :-বৃষ্টির ধারা থামাতে পারেনি খ্রিস্টভক্তদের হৃদয়ের উচ্ছ্বাস। বরং সেই স্নিগ্ধ ফোঁটার মাঝেই আজ ভোর ছয়টায় জেগে উঠেছিল চট্টগ্রামের জুবলি রোডের ক্রাইস্ট চার্চ প্রাঙ্গণ—প্রভু যীশু খ্রীষ্টের গৌরবময় পুনরুত্থানকে ঘিরে!
ইন্টার-ডিনমিনেশনাল ইস্টার সানরাইজ সার্ভিস টিমওয়ার্ক (আইডেস্ট)-এর ২৬তম পুনরুত্থান উপাসনা উদযাপন হয় গভীর আধ্যাত্মিক আবেশে। “হাল্লেলুইয়া বল, জয় যীশু হলেন মৃত্যুঞ্জয়!”—এই প্রাণজাগানিয়া গান দিয়ে শুরু হয় এই পুণ্যআয়োজন।
চট্টগ্রামসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত খ্রিস্টান ভক্তবৃন্দ বৃষ্টি উপেক্ষা করে একত্রিত হন প্রভুর মহিমা গাওয়ার আশায়। আইডেস্ট কয়ারের হৃদয়ছোঁয়া গান যেন ভক্তদের মনে ঢেলে দেয় এক অলৌকিক প্রশান্তি।
পরে, ঢাকা থেকে আগত বিশিষ্ট পালক রেভা. মানিক ফলিয়া পবিত্র বাইবেলের আলোকে যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন, তুলে ধরেন খ্রিস্টীয় জীবনের পরম বার্তা।
আয়োজনের শেষভাগে প্রার্থনারত জনতা দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় একসাথে মেলান কণ্ঠ। বৃষ্টিস্নাত চার্চ প্রাঙ্গণে শুভেচ্ছা বিনিময় আর প্রীতি সংলাপে সৃষ্টি হয় এক হৃদয়ছোঁয়া পরিবেশ।
শুধু এই সানরাইজ সার্ভিস নয়—চট্টগ্রামের প্রতিটি খ্রিস্টান মন্ডলীও ছিলো আজ সক্রিয় ও উৎসবমুখর। ক্যাথলিক চার্চ, সিয়োন ব্যাপ্টিস চার্চ, বেথলেহেম এজি চার্চ, দামপাড়া ব্যাপ্টিস চার্চ, কালুরঘাট ও ফিরিঙ্গি বাজার ব্যাপ্টিস চার্চ, এভরি নেশন চার্চ, ঐশী প্রেম ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, কালভেরি ব্যাপ্টিস চার্চ, ক্রাইস্ট চার্চসহ নগরীর প্রতিটি গির্জা আজ ধ্বনিত হয়েছে যীশু খ্রীষ্টের জয়গানে।