
অভি পাল
“আমার মৃত্যুর জন্য মা কিংবা বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।”
এই চিরকুটের লেখা, পলাশ সাহার শেষ অনুভূতি, যা তিনি রেখে গেছেন তার আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ হিসেবে।
চান্দগাঁওয়ে র্যাব-৭ কার্যালয়ের একটি কক্ষে উদ্ধার হয় সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ, যা পুরো চট্টগ্রামকে শোকস্তব্ধ করে দিয়েছে। তার মৃত্যু ঘিরে ওঠা প্রশ্নের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হচ্ছে—এটি কি আত্মহত্যা ছিল, নাকি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড?
পলাশ সাহা ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি দেশের নিরাপত্তা ও অপরাধ দমনে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
তবে তার চিরকুটের লেখা থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল মানসিক চাপ, সম্পর্কের অশান্তি, এবং একাকীত্বে পূর্ণ। যদিও তার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু কিছু মানুষ মনে করছেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ডও হতে পারে।
তবে এই রহস্যের সত্যতা প্রকাশের জন্য প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি উঠেছে।
পরিবারের সদস্যরা এবং সহকর্মীরা নিশ্চিত হতে চান যে, পলাশ সাহার মৃত্যুর পেছনের আসল কারণ উদ্ঘাটিত হবে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, এবং র্যাব ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ তদন্তে নেমেছে।
পলাশ সাহার মৃত্যু একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, এবং এখন দেশের জনগণ, তার পরিবার ও সহকর্মীরা চাইছেন এই রহস্যের জট খুলুক। তার শেষ কাজ, তার অবদান—এই সব কিছুই পরিস্কার হোক, যাতে সত্য বেরিয়ে আসে।