
অভি পাল:“বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই সংগ্রাম কেবল একটি সংগঠনের লড়াই নয়—এটা এই প্রজন্মের নৈতিক দায়িত্ব। বাঁশখালী থেকে যে আলোর মিছিল আজ যাত্রা শুরু করেছে, তা একদিন সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলবে।”
—বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাঁশখালী উপজেলা কমিটির পরিচয়পর্ব ও প্রথম কার্যক্রমে।
বক্তারা বলেন, এই আয়োজন ছিল আত্মপরিচয়, আদর্শ ও সাহসিকতার মিলনমঞ্চ। পৌরসভার একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত এ প্রোগ্রামে নবগঠিত কমিটির সদস্যরা আন্তরিক পরিবেশে একে অপরকে চিনেছেন, বুঝেছেন এবং আগামী দিনের সংগ্রামপথকে কীভাবে সুসংগঠিত করা যায়, তা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেছেন। অংশগ্রহণকারীদের মতামতের ভিত্তিতে একটি সম্ভাব্য কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে, যা আগামী দিনে বাঁশখালীতে সংগঠনের কার্যক্রমে গতি এনে দেবে। তাঁরা বলেন, আন্দোলন শুধু মিছিল বা স্লোগান নয়—আন্দোলন মানে চিন্তা, কৌশল ও প্রতিরোধের প্রস্তুতি। সেই প্রস্তুতির পথেই আজ আমরা প্রথম পদক্ষেপ রাখলাম।
বক্তারা আরও বলেন, পটিয়ায় পুলিশের হাতে ছাত্র-জনতার ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা বর্তমান রাষ্ট্রীয় বাস্তবতার নগ্ন প্রকাশ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সবাই উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। বক্তারা বলেন, পুলিশ বাহিনী যখন জনগণের ভয়ে পরিণত হয়, তখন কাঠামোগত সংস্কার অনিবার্য হয়ে ওঠে। তাঁরা স্পষ্ট করে বলেন, ফ্যাসিবাদী দমননীতি, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে যদি আজ কণ্ঠ না তুলি, তবে আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। তাই ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থান নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। বাঁশখালী আজ যে চেতনায় জেগে উঠেছে, সেটিই হবে সামনের দিনের দুর্বার ছাত্র-প্রতিরোধের ভিত্তি।