“অ’বৈধ বালিচু’রি বন্ধে দীঘিনালায় ক’ড়া হুঁ’শিয়ারি ও জ’রিমানা”

দীঘিনালা প্রতিনিধি : দূর্জয় বড়ুয়া

“মাইনী নদীর বালি কারও ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। প্রকৃতি আমাদের সবার, তাই এর অপব্যবহার কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। অবৈধভাবে বালি উত্তোলন মানে শুধু নদীর প্রাণহানি নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, কৃষিজমির ক্ষতি এবং মানুষের জীবনের ঝুঁকি। নদীকে বাঁচাতে হলে এই অপকর্ম বন্ধ করতেই হবে। তাই আমরা কঠোরভাবে জানিয়ে দিচ্ছি—অবৈধ বালি উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে, প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এভাবেই কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানিয়ে দিয়েছেন, মাইনী নদী থেকে অবৈধ বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অবস্থান।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে তার নেতৃত্বে উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের মিলনপুর (আমবাগান) এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় রাজেন্দ্র ত্রিপুরা (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে বালি উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ভেঙে অকার্যকর করে দেওয়া হয়।

অভিযান শেষে স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে ইউএনও বলেন, অবৈধ বালি উত্তোলন কেবল নদীর প্রবাহ নষ্ট করছে না, বরং কৃষিজমি ভাঙনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাইনী নদী থেকে বালি তোলার কারণে জমি ক্ষয়ে যাচ্ছে এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। প্রশাসনের এ পদক্ষেপে তারা স্বস্তি পেয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও নিয়মিত অভিযান চলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।