
নিজস্ব প্রতিবেদক, আমাদের দিগন্ত:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. কুশল বরন চক্রবর্তীর পদোন্নতির মৌখিক পরীক্ষা বাতিলকে “বেআইনী, অমানবিক ও পক্ষপাতদুষ্ট” উল্লেখ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (BSP)।
দলটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক লিখিত প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিদ্বেষমূলক আচরণ, বৈষম্য ও অপপ্রচার বাড়ছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
বিএসপির ভাষ্যমতে, গত ৪ জুলাই ২০২৫, বিকাল আনুমানিক ৩টার দিকে ড. কুশল বরন চক্রবর্তী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী তাঁর পদোন্নতির সিলেকশন বোর্ডের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে কিছু বহিরাগত উশৃঙ্খল ব্যক্তি আপত্তিকর স্লোগান দেয় এবং তাঁকে বাধা দেয়। পরবর্তীতে তারা পরীক্ষা বোর্ড কক্ষে উপস্থিত উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সামনেও ড. কুশল বরনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে এবং তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্তা করে।
বিএসপি দাবি করে, উক্ত বহিরাগত চক্র “মিথ্যা, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের” মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিনষ্ট করে এবং কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব উশৃঙ্খল ও বহিরাগত সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিয়ে বরং অধ্যাপক কুশল বরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই তাঁর পদোন্নতি পরীক্ষা বাতিল করে।
বিএসপি একে “একতরফা, বেআইনী ও অমানবিক সিদ্ধান্ত” বলে উল্লেখ করে এবং দাবি করে, এ সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দলটি আরও জানায়, এই ঘটনার মাধ্যমে একটি কুচক্রী মহল সরকার এবং রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সনাতন পার্টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং ঘটনার পেছনে থাকা দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।