
দুর্জয় বড়ুয়া :“পাহাড়ে ধর্ষণকে এখন জাতিগত নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে,” — এমন মন্তব্য করেছেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা রোনাল চাকমা। তিনি বলেন, “প্রশাসনের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা এ ধরনের অপরাধকে উৎসাহিত করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পাহাড়ে আর কোনো কিশোরী যেন এই নির্মমতার শিকার না হয়।”
খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ায় অষ্টম শ্রেণির এক পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে দীঘিনালায় মানববন্ধন করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)।
সোমবার সকাল ১০টায় বাবুছড়া কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ র্যালি বের হয়। র্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাঘাইহাটের দু’অরে গিয়ে মানববন্ধনে রূপ নেয়। কর্মসূচিতে শতাধিক নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। তারা হাতে হাত ধরে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে প্রতিবাদ জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাহাড়ে প্রতিনিয়ত যেভাবে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, তা উদ্বেগজনক। অনেক সময় এসব ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কিংবা অভিযুক্তদের রক্ষার অভিযোগও উঠে আসছে। তারা বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এসব অপরাধকে বারবার জন্ম দিচ্ছে।
পিসিপি, এইচডব্লিউএফ ও ডিওয়াইএফ-এর নেতারা বলেন, “এই ঘটনা শুধু একজন কিশোরীর ওপর হামলা নয়, বরং এটি গোটা পাহাড়ি সমাজের ওপর একটি সাংগঠনিক আঘাত।”
বক্তারা ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি পাহাড়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানান। পাশাপাশি পাহাড়ে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দাবি—স্বায়ত্তশাসন বাস্তবায়নের বিষয়টিও তারা জোরালোভাবে তুলে ধরেন।
মানববন্ধন শেষে আয়োজকরা বলেন, অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত না হলে এবং বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। প্রয়োজনে আগামী দিনে অবরোধ ও বিক্ষোভের মতো কর্মসূচি ঘোষণার কথাও জানান তারা।