অভি পাল:-চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম বলেছেন, বর্তমানের শিশুরাই ভবিষ্যতের কর্ণধার। প্রাচীনকাল থেকেই মানব জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য ধর্মীয় শিক্ষার সূচনা হয়েছিল। আধুনিক যুগে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করছি, তবে আগামীর বাংলাদেশকে আরও নৈতিক ও মানবিক ভিত্তির উপর গড়ে তুলতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাও শিশুদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদানের পাশাপাশি খেলাধুলা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করা গেলে তারা একদিন দেশপ্রেমিক, সুনাগরিক এবং মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
গত ৯ এপ্রিল (বুধবার) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৬ষ্ঠ পর্যায়’ প্রকল্পের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের উত্তম শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম জেলা কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং প্রকল্পের সহকারী পরিচালক রিংকু কুমার শর্মার সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দীপক কুমার পালিত বলেন, “মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম দেশের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমাদের সন্তানদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা ও মানবিকতা গড়ে তুলতে হলে এই ধরনের কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত করতে হবে। আমরা চাই, আগামী প্রজন্ম যেন জ্ঞান, মানবতা ও নৈতিকতায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। এই লক্ষ্যে সরকার ও সমাজের সকলে মিলে কাজ করলে একটি উন্নত, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।”
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শ্রেষ্ঠ ৫ জন শিক্ষক ও ১০ জন শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন। এছাড়া ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ১৩টি ইভেন্টের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৪৩ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মাঝেও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।