শিক্ষা খাতে চসিকের বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে: মেয়র ডা. শাহাদাত

আইমন(প্রতিনিধি)

শিক্ষা বিস্তারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) বিনিয়োগ ও ভর্তুকি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নগরীর শিক্ষাখাতকে ঢেলে সাজাতে সব ধরনের সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

গত বৃহস্পতিবার ৪১ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডস্থ এয়ারপোর্ট রোড সংলগ্ন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী শাহীন কলেজ রোড এর উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম,  ঘাটি অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আব্দুল্লাহ, এয়ার কমোডর মাহমুদ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন জালাল উদ্দিন,  সালেহ আহমেদ খান, এ্যাডজুটেন্ট স্কোয়াড্রন লীডার আব্দুল মুমিত, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী। ৯ কোটি ৯৯ লক্ষ ৭০  হাজার টাকা ব্যয়ে বোট ক্লাব থেকে গুপ্ত খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করছে চসিক। এরই আওতায়  ৭০০ ফুট দৈর্ঘে্যর আরসিসি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী শাহীন কলেজ রোডের সম্মুখে। 

এছাড়া নগরীর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র। বিদ্যালয়ের সভাপতি এ আর এম শামীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ,দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর, ওমর আলী ফয়সল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, সহকারী প্রধান শিক্ষক খায়রুল বাশার।

এসময় মেয়র বলেন, বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে একমাত্র চসিকই শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে থাকে। বর্তমানে ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করছে চসিক। এক্ষেত্রে প্রতি বছর যে ভর্তুকি দিতে হয় সেটিকে আমি ব্যয় মনে না করে বিনিয়োগ মনে করি। কারণ শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তারা ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম ও সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। এজন্য মেয়র হিসেবে আমি শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখব। শিক্ষা এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে বিনিয়োগ করলে একটি আলোকিত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। প্রতি মাসে চসিককে ছয় থেকে আট কোটি টাকা শিক্ষা খাতে ব্যয় করতে হয়, যা আসলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ। এটি শুধুমাত্র ভোটের বিষয় নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ।

মেয়র শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, অভিভাবকের পরে যারা ছাত্রছাত্রীদের সবচেয়ে বেশি সময় দেয় তারা হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকা। কাজেই শিক্ষক-শিক্ষিকা যদি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সবসময় মনিটরিং করে নীতিবাক্য শুনায় তাহলে দেশকে একটা ভালো জায়গায় আনতে পারব আমরা। শিক্ষার্থীরা ঠিকমত ব্রেকফাস্ট খেয়েছে কিনা এটাও মনিটরিং করতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী সকালে ১০ টায় আসে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত স্কুলে থাকে। এই দীর্ঘ সময় তাদের পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এজন্য মিড-ডে মিল চালু করা অত্যন্ত জরুরি।  ছাত্র-ছাত্রীদেরকে যদি ব্রেইন ডেভলপমেন্ট করতে হয়, ব্রেইন ওয়ার্ক করাতে হয় এগুলির কোন বিকল্প নেই।