` ❝আঁরা বাঁশখাইল্ল্যা❞
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
– তপন দে (কবিতার মানুষ)
সোনদর গরি চলি আঁরা, নাই হনো হইজ্জা,
পুক মিক্কা বড় পাআর;পশ্চিম মিক্কা দইরজ্জা।
চোখ দিলে ন সরে চোখ; যিক্কা চাই ইক্কা,
মাছে ভরা পইর বিল- ফুলফল নানান ঢিক্কা।
ঘরে ঘরে আঁরা বেয়াকে আঁস কুরা পালি,
বিশ্বাস নইলে ঘুরি যাইয়ন, আঁরার বাঁশখালী।
‘কালীপুইরজ্জা লেচু’ একবার যে খাইয়ে ভাই,
এঁড়ে আইলে বারবার- আরো খাইতো চায়।
গাছ ভরা সোনদর ফল, মাইরত্ত চায় দে দলা,
খাইবাল্লাই পঁল অই যাগই; আম,কাট্টল,হলা!
এ্যান হা হাদে বেয়াকগ্গুন- পেট ন রাখে হালি,
বিশ্বাস নইলে ঘুরি যাইয়ন, আঁরার বাঁশখালী।
বিলে বিলে আঁলচাষ, মুখে মুখে স্বপ্পনর হাসি
আরাদিনভর সুখে থাকে বউ পোয়ারে ভালোবাসি।
হিন্দু মুসলমান বুকত বাজায় এক ওয়্যারে থাকে,
শ্রদ্ধা গরে মানুষ বেয়াকগ্গুন – নিজের বাবা মাকে।
এক পথোদি আঢ়াচলা, একতায় দেয় যে তালি,
বিশ্বাস নইলে ঘুরি যাইয়ন, আঁরার বাঁশখালী।
বুড়া বুড়ির রসর হতা, মুখত দিয়্যেরে পান
হতো মানুষ ঘুইরত্ত আইয়্যে পুকুরিয়া চা বাগান।
মিলিমিশি থাঁকি আঁরা; সুন্দর, ফর্সা, ধলা, কালা,
হিংসা তিংসা নাই আঁরাত্তুন, মন’নান হতো ভালা।
অক্খল সময় ভদ্র থাকি, ন গরি তালিনালি,
বিশ্বাস নইলে ঘুরি যাইয়ন, আঁরার বাঁশখালী।
খানখানাবাদ সী-বীচর হতা কী হইয়ুম আঁই,
এত সুন্দর জাগা আঁরার,আর হনোমিক্কা নাই!
খালবিল হতো সোনদর হতোরকমের পাখি,
বেয়াইন্নে সরেত্তুন ওড়ি তারা, গরে ডাকাডাকি।
মনে লাগে’দে উপরওয়ালা রং দিয়েদে ঢালি,
বিশ্বাস নইলে ঘুরি যাইয়ন, আঁরার বাঁশখালী।
রাতিয়া যাই দি শান্তির ঘুম, নাক ডাকি ডাকি,
আকাশর তারা শতশত, গনিলে থাকিব বাকি,
ব্যাঙের হইজ্জা, ঝিঝি পোকর মধুর মধুর হতা,
ভুলি যাগই মনর মধ্যি- জমা আছে যতই বেথা।
সন্ধ্যা অইলে জুণিপোকে – আলো দেয় জ্বালি,
বিশ্বাস নইলে ঘুরি যাইয়ন, আঁরার বাঁশখালী..!