অভি পাল:“যে মানুষ নিজের স্বার্থ ভুলে অন্যের জন্য কাজ করতে শেখে, সেও একদিন হয়ে ওঠে মানুষের ভরসার জায়গা। সংগঠক হতে ধন-দৌলত লাগে না, লাগে নিষ্কাম মন, বিবেকের তাড়না ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।” — এমনই গভীর দর্শনে নিজের বক্তব্য শুরু করেন বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা পরিষদ (বাগীশিপ)-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং চট্টগ্রাম জেলার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শুক্ল দাশ।
তিনি বলেন, “যখন আপনার হৃদয়ের ভেতর থেকে কেউ বলে উঠবে—‘এই কাজটা আমি করবো, কারণ এটা সঠিক,’ তখন আর লোভ, বিলাসিতা, কামনা-বাসনা আপনাকে টানতে পারবে না। তখন পাঁচটি ইন্দ্রিয় যেমন শান্ত হয়, তেমনই আত্মা পায় পরিতৃপ্তি। আপনি তখন আর সাধারণ মানুষ নন—আপনি একজন নীরব বিপ্লবী। যে সমাজে আদর্শের ঘাটতি, সেখানে একজন আদর্শবান কর্মীই হয়ে ওঠে নেতৃত্বের আলোকবর্তিকা।”
উজ্জ্বল দাশ আরও বলেন, “একজন সত্যিকারের সংগঠককে টাকা দিয়ে কেনা যায় না, ক্ষমতা দিয়ে দমানো যায় না, বাহুবলে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তাঁর মৃত্যু হয় না—তিনি বেঁচে থাকেন কাজের মধ্যে, মানুষের স্মৃতিতে, এবং প্রজন্মের চিন্তায়।”
এই উপলক্ষে বোয়ালখালী উপজেলা শাখা আয়োজন করে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সভা। সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সভাপতি পোপন দাশ। গীতা পাঠ করেন মনিষক্ষেত্র চৌধুরী ও অংকিতা ঘোষ, যার মধ্য দিয়ে সভার আধ্যাত্মিক সূচনা ঘটে।
উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র রুপন দাশ তুলে ধরেন সংগঠনের সার্বিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। বক্তব্যে উঠে আসে সাংগঠনিক গতিশীলতা, যুবসমাজের নৈতিক উন্নয়ন ও গীতা শিক্ষার কার্যকর প্রভাব।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—জেলার সহ-অর্থ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য, দপ্তর সম্পাদক বাবন চৌধুরী,প্রধান উপদেষ্টা বিপ্লব দাশ বাবু,উপদেষ্টা শিমলা সেন গুপ্ত, প্রধান শিক্ষক সহ-সভাপতি শিক্ষক রতন পারিয়াল,যুগ্ম সম্পাদক নিখিল চৌধুরী অর্থ সম্পাদক দীবাংকুর সেন,তথ্য সম্পাদক অলোক দাশ,স্বাস্থ্য সম্পাদক বাবুল বৈদ্য,সদস্যবৃন্দ: শুভ ঘোষ, মিটুন দাশ, রাখাল দাশ, ঝুন্টু দাশ