অভি পাল:চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবির দিঘির মোড় এলাকায় অবস্থিত তাকওয়া রেস্তোরাঁ এন্ড বিরিয়ানি হাউজ-এ নিয়মিতভাবে পণ্যের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন এই দোকানে খেতে আসা সাধারণ ক্রেতারা বিষয়টি নিয়ে চরম বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
একজন ভুক্তভোগী জানান, “এই দোকানে সবকিছুতেই অতিরিক্ত দাম রাখা হয়। একটি সসের প্যাকেটে স্পষ্টভাবে ৩ টাকা মূল্য লেখা থাকলেও তারা ৫ টাকা নিচ্ছে। এমনকি এক কাপ সাধারণ চায়ের দামও নিচ্ছে ২০ টাকা।”
এভাবে প্রতিটি জিনিসেই গায়ে লেখা মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আরও কয়েকজন স্থানীয় ক্রেতা। কেউ প্রতিবাদ করলে দোকানদারের উত্তেজিত প্রতিক্রিয়া ও খারাপ ব্যবহারও সহ্য করতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা তাদের অবস্থান থেকে মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খরচ ও অন্যান্য খরচের অজুহাত দিলেও ভোক্তারা বলছেন, “পণ্যের মোড়কে লেখা দামই চূড়ান্ত। অতিরিক্ত নিলে সেটা প্রতারণা, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”
বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, পণ্যের গায়ে লেখা এমআরপি’র (সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য) বেশি নেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু এর বাস্তব প্রয়োগের অভাবেই ব্যবসায়ীরা এমন নিয়মিত অনিয়ম করতে পারছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, “নিয়মিত বাজার মনিটরিং, হটলাইন চালু রাখা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এই ধরনের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করা দরকার। না হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে না।”
ভোক্তারা জোর দাবি জানিয়েছেন, তাকওয়া রেস্তোরাঁ এন্ড বিরিয়ানি হাউজ-সহ অনুরূপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর প্রশাসন যেন দ্রুত নজর দেয় এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
