এপ্রিলেই দেখা  ইউনূস-মোদির

আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)-এর ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে দুই নেতার বৈঠক এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন জোটটির মহাসচিব ইন্দ্র মনি পাণ্ডে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বিমস‌টেক কার্যাল‌য়ে মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (‌ডিক‌্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।

মহাস‌চিব জানান, আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে বিমসটেক সামিট হবে। সেখানে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা যোগদানে সম্মত হয়েছেন। তবে সাইড লাইনে শীর্ষ নেতাদের একে অপরের সঙ্গে বৈঠক সদস্য দেশগুলো পারস্পারিক আলোচনা করে ঠিক করবে।

ইন্দ্র মনি পাণ্ডে বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে দেখা হলেও, আনুষ্ঠানিক বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, দুই দেশের আগ্রহের ওপর এই বৈঠক নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে কাজ করে না, বরং এই অঞ্চলের বাণিজ্য, যোগাযোগসহ নানান স্বার্থে কাজ করে। কিন্তু এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সদস্য দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেন ইন্দ্র মনি পাণ্ডে।

বিমসটেকের মহাসচিব জানিয়েছেন যে, সংগঠনটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিমসটেককে শক্তিশালী করতে কাজ করছে, এবং সেই ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকার সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতি বিমসটেক সম্মান জানায়।

বিমসটেকের মহাসচিব জানান, এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর একটি আঞ্চলিক জোট। এর উদ্দেশ্য চীন বা পাকিস্তানের বিরোধিতা করা নয়।

আসন্ন সম্মেলনে বিমসটেকের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে, ২০২২ সালের ৩০ মার্চ শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে বিমসটেকের চেয়ারম্যানশিপ গ্রহণ করেছিল থাইল্যান্ড। বিমসটেকের সাতটি সদস্য দেশ হলো—বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড।