“ঈদুল আযহা—ভ্রাতৃত্ব আর আত্মত্যাগের প্রতীক”-চট্টগ্রামবাসীকে মেয়রের বার্তা

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানির হাটে হাঁকডাক, অলিতে-গলিতে গরুর হাম্বা ডাক, আর বাজারজুড়ে ঈদের প্রস্তুতির ব্যস্ততা—সব মিলিয়ে জমে উঠেছে চট্টগ্রাম। এমন প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নগরবাসীর উদ্দেশে দিয়েছেন এক আবেগঘন শুভেচ্ছাবার্তা।

তিনি বলেন, “ঈদুল আযহা কেবল পশু কোরবানির উৎসব নয়—এটা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি আর ভ্রাতৃত্ববোধের অনন্য দৃষ্টান্ত। এই পবিত্র দিনে আমরা যেন আমাদের ভেতরের অহংকার, হিংসা, লোভ ও সংকীর্ণতা কোরবানি দিয়ে সত্যিকারের মানুষ হতে পারি।”

নগরের পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আশ্বাস দিয়ে মেয়র জানান, “চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ইতিমধ্যে ৪১টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত কোরবানির স্থান প্রস্তুত করেছে। ঈদের দিন ও তার পরদিন ২৪ ঘণ্টা বর্জ্য অপসারণে থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। বিশেষ পরিচ্ছন্নতা টিম ও পর্যাপ্ত জনবল মাঠে কাজ করবে। এছাড়া মনিটরিং টিম নিয়মিত কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে।”

তিনি আরও বলেন, “নগরবাসীর কাছে অনুরোধ থাকবে—নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিন। যেখানে-সেখানে বর্জ্য না ফেলে সিটি করপোরেশনের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। একসাথে কাজ করলেই আমরা গড়তে পারি পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর চট্টগ্রাম।”

সবশেষে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “ঈদের আনন্দ হোক সবার জন্য। ধনী-গরিব, শ্রেণিভেদ ভুলে যেন আমরা সহমর্মিতা ও ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিই পাশের মানুষের প্রতি। ঈদ হোক নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন এবং ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। আমি চট্টগ্রামবাসীকে জানাই আন্তরিক ঈদ মোবারক।”