চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা: তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে নতুন সমীকরণ

আমাদের দিগন্ত প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ ছড়িয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১০টি সংসদীয় আসনে তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। গতকাল সোমবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা প্রকাশ করেন। ঘোষিত তালিকায় তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার এক ব্যতিক্রমী সমন্বয় ঘটানো হয়েছে, যেখানে একদিকে যেমন দলের পরীক্ষিত ও পুরোনো নেতাদের ওপর আস্থা রাখা হয়েছে, তেমনি বেশ কয়েকটি আসনে নতুন মুখ ও রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরীদের মনোনয়ন দিয়ে চমক সৃষ্টি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের মোট ১৬টি আসনের মধ্যে বাকি ৬টি আসনের প্রার্থী পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে নতুন মুখ নিয়ে। চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের পুত্র ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অভিজ্ঞদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী) থেকে এবং চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান পুনরায় দলের টিকিট পেয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনেও নতুন প্রার্থীদের ওপর আস্থা রেখেছে বিএনপি, যা দলে নতুন নেতৃত্বের বিকাশকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন অনেকে।

এই তালিকা প্রকাশের পর চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মনোনয়নপ্রাপ্তদের সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করলেও, মনোনয়নবঞ্চিত প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা হতাশা ও ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। তবে, দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাকি আসনগুলোর প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর চট্টগ্রামের নির্বাচনী রাজনীতিতে বিএনপির এই নতুন সমীকরণ বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।