ত্রিপুরাশ্বেরীতে প্রতিযোগিতার ছলে শিক্ষার মহাযজ্ঞ!

অভি পাল :চট্টগ্রামের সুনামধন্য ও প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ত্রিপুরাশ্বেরী গীতা প্রশিক্ষণালয়-এ অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী এক কুইজ প্রতিযোগিতা। স্ব্যধায়ী প্রকাশনার উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় বেদ ও গীতার মর্মবাণীকে কেন্দ্র করে তাৎক্ষণিক প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, নৈতিকতা ও উপলব্ধি যাচাই করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাগীশিপ চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শুক্ল দাশ, বোয়ালখালী প্রধান উপদেষ্টা বিপ্লব দাশ বাবু, উপদেষ্টা ও প্রধান শিক্ষক শিমলা সেন গুপ্ত, স্ব্যধায়ী প্রকাশনার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম প্রতিনিধি রনি দে, অন্তু ও শয়ন, গীতা প্রশিক্ষণালয়ের শিক্ষক মৃণাল পারিয়াল, মাখম দাশ এবং বিদ্যালয়ের সম্মানিত অভিভাবকমণ্ডলী।

বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মূল্যবান ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষামূলক বই—যা তাদের ভবিষ্যতের পথচলায় আলোর দিশা দেখাবে।

বক্তব্যে অতিথিবৃন্দ বলেন:
“আজকের দুনিয়াটা শুধু মেধার প্রতিযোগিতা নয়, এটা এখন এক নৈতিক সংগ্রামের ময়দান। সন্তানদের যদি শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের দিকে ঠেলে দেই, আর আত্মিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করি—তবে তারা হয়তো বড় অফিসার হবে, কিন্তু বড় মানুষ হয়ে উঠবে না। গীতা ও বেদের শিক্ষা শুধুমাত্র ধর্মীয় জ্ঞান নয়, এগুলো ন্যায়-অন্যায়, কর্তব্য-দায়িত্ব, সহানুভূতি ও আত্মশক্তির বোধ শেখায়।

এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিশুমনে মূল্যবোধ, সততা ও বিচার-বুদ্ধির শক্ত ভিত গড়ে দেয়। অভিভাবকদের উদ্দেশে বলতে চাই—আপনারা শুধু সন্তানদের ভালো ফল চান না, চান তারা সমাজে সম্মানিত ও দায়িত্ববান মানুষ হয়ে উঠুক। আর সেটি সম্ভব নৈতিকতা, মানবিকতা ও গীতার আদর্শকে আত্মস্থ করার মধ্য দিয়েই। আপনার সন্তান আলোকিত হলে, আপনার মান-সম্মানও সমাজে বাড়বে—এই আত্মতৃপ্তিই হবে প্রকৃত অর্জন।”