
অভি পাল:“নেতা হতে চাই না, মানুষের পাশে দাঁড়ানো একজন সেবক হতে চাই। আমার রাজনীতির শুরুটা কোনো পোস্টার বা মিছিল থেকে হয়নি—শুরু হয়েছে একটা কথা থেকে, ‘মানুষ কাঁদে, পাশে কেউ থাকে না।’ আমি সেই পাশে থাকা মানুষ হতে চাই। চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার প্রতিটি ঘর আমার পরিচিত, প্রতিটি হাসি আমার স্বপ্ন। আমি রাজনীতি করি ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য। যদি দল ও জনগণ আমাকে সুযোগ দেয়, আমি তাদের ঘরের ছেলে হয়ে কাজ করতে চাই—সংসদের চেয়ার নয়, মানুষের বিশ্বাসই আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হবে।”
— দৃঢ় অথচ সংবেদনশীল কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আলোচনায় উঠে আসা তরুণ নেতা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাহী।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার আংশিক) আসনকে ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে বাড়ছে আগ্রহ, বিশ্লেষণ আর প্রত্যাশার চাপ। যেখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন কয়েকজন প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতা, সেখানে ব্যতিক্রমী আলো ছড়াচ্ছেন এই তরুণ, পরিশীলিত ও সমাজসচেতন সংগঠক। তার রাজনৈতিক পথচলা শুরু সংগঠনের নিচতলা থেকে—যেখানে হাত ধরে মানুষকে নিয়ে চলা হয়, দলকে ভালোবেসে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা হয়।
রাহী দীর্ঘদিন দক্ষিণ চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠে নিষ্ঠা ও মানবিকতায় পরিচিত মুখ। দায়িত্ব পালন করেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হিসেবে। বর্তমানে তিনি কোকো স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে সক্রিয়। তবে এই পদ-পদবির বাইরেও মানুষ তাকে মনে রাখে একজন সংকটের সাথী ও এক নির্ভরতার নাম রাহী।
যেখানে রাজনীতি অনেকের কাছে বিতর্কিত স্বার্থপরতার মাঠ, সেখানে শফিকুল ইসলাম রাহী এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বই, খরচ ও ভর্তি সহায়তা দিয়ে পাশে থেকেছেন নীরবে। সমাজের অবহেলিত, প্রতিবন্ধী ও বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করে গড়েছেন মানবিকতার দৃষ্টান্ত। অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব থেকেছেন দৃঢ় কণ্ঠে, ছিলেন রাজপথে সাহসী কণ্ঠস্বর। তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতি হলো মানুষের কাঁধে হাত রাখার শক্তি, দম্ভ নয়।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আরও রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরী। এদের প্রত্যেকেই পরিচিত, অভিজ্ঞ এবং রাজনীতির পরীক্ষিত সৈনিক। তবে শফিকুল ইসলাম রাহী আজকের রাজনীতিতে নতুন এক ভাষা যোগ করেছেন—যা শুধু কর্মীর নয়, সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতিচ্ছবি।
তৃণমূল থেকে বার্তা আসছে—সময়ের দাবি রাহী। বিশেষ করে যুব সমাজ, প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়া তরুণেরা রাহীর মধ্যে খুঁজে পেয়েছে একজন আপনজন, একজন ভরসার মানুষ, যে কথা দিলে পাশে থাকে, যার ফোন বন্ধ হয় না, যাকে পাওয়া যায় মাটির কাছেই। অনেকেই বলছেন, “রাহী ভাইয়ের মতো একজন মানুষ সংসদে গেলে সত্যিই কিছু পরিবর্তন হবে।”
শফিকুল ইসলাম রাহী বলেন, “আমি কোনো চাপে রাজনীতি করি না। আমি মানুষের দোয়া নিয়ে রাজনীতি করি। আমার শক্তি তৃণমূল, আমার অহংকার মানুষের ভালোবাসা। মনোনয়ন পেলাম কি পেলাম না, সেটি বড় কথা নয়—আমি সব সময় মানুষের পাশে থাকব, এটাই আমার ওয়াদা।”