‘গোয়েন্দা’ থেকে গোপন ধনকুবের! সাবেক ডিজির ৪০ কোটি ফ্রিজ

ঢাকা প্রতিনিধি
সাবেক সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা ৪০ কোটি টাকার এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট) ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব।

দুদক সূত্র জানায়, সম্প্রতি তাদের কাছে তথ্য আসে যে, অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যরা বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যাংক থেকে উত্তোলনের পরিকল্পনা করছেন। এরপরই কমিশনের সহকারী পরিচালক নওশাদ আলী আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ওই অর্থ ফ্রিজের নির্দেশ দেন।

অবরুদ্ধ করা টাকাগুলো রাজধানীর একটি শাখার পূবালী ব্যাংকে সংরক্ষিত ছিল। প্রতিটি অ্যাকাউন্টে ছিল ১০ কোটি করে মোট ৪০ কোটি টাকার এফডিআর। দুদক বলছে, এই অর্থের উৎস ও বৈধতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, এবং তা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত হতে পারে।

এর আগে, গত এপ্রিল মাসে হামিদুল হক ও তার স্ত্রী নূসরাত জাহান মুক্তার বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সন্দেহজনক লেনদেন, সম্পদের অস্বচ্ছতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক ডিজিএফআই ছাড়াও সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের ২০৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড ও ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা পরিকল্পনাতেও তিনি যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, একজন রাষ্ট্রের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক প্রধান কীভাবে ৪০ কোটি টাকার এফডিআর করেন, যার উৎস এখনো পরিস্কার নয়। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

দুদক বলছে, এফডিআর ফ্রিজ করার মাধ্যমে আপাতত অর্থের গতি বন্ধ করা গেলেও, সামনে আরও অনুসন্ধান ও তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে এই অর্থের প্রকৃত উৎস ও ব্যবহারের খাত