
দুর্জয় বড়ুয়া প্রতিনিধি; টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ফলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। পানিবন্দী হয়ে পড়া মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে, যেখানে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৭৫টি পরিবার।
এই মানবিক সংকটে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দীঘিনালা সেনা জোনের উদ্যোগে ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর চিকিৎসক দল নারী, শিশু, গর্ভবতী নারীসহ সাধারণ মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্য পরামর্শ এবং পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা প্রদান করেন।
সেনা চিকিৎসক ক্যাপ্টেন রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় মানুষের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”
চিকিৎসা কার্যক্রম শেষে সেনাবাহিনীর একটি দল আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে আশ্রিতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়েও তাদের আশ্বস্ত করেন।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও চলছে তৎপরতা। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খাবারের পাশাপাশি শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায়।
পাহাড়ি অঞ্চলের এই সংকটকালে সেনাবাহিনীর দ্রুত সাড়া ও কার্যকর ভূমিকা স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে। তাদের মানবিক সহায়তা ও সহমর্মিতার প্রশংসা করছেন এলাকাবাসী।