
অভি পাল
গত ৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন উপজেলা ও পৌরসভার কারানির্যাতিত ও হামলা মামলার শিকার হওয়া বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারী, বুধবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া একটা অনলাইন পোর্টালে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ২০১৮ সালের পর ২০২৪ সাল পর্যন্ত গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি এবং যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল তারা নিজেরাই অতিউৎসাহী হয়ে মামলার আসামি হয়েছিল। বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীরা ইদ্রিস মিয়ার ঔদ্ধত্যপূর্ণ নেতিবাচক এই বক্তব্যে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেছে।
প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ইদ্রিস মিয়া একজন সুবিধাবাদী ও আওয়ামীলীগের দোসর ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্ব ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ইদ্রিস মিয়া একদিনের জন্যও রাজপথের আন্দোলনে ভূমিকা রাখেনি এবং এ কারনে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। তার মত একজন সুবিধাবাদী নেতার মুখে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের হাতে হামলা মামলায় নির্যাতিত বিএনপি নেতাকর্মীদের কটাক্ষ করে যেই মন্তব্য করেছে সেটা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড। তার এই বক্তব্য নির্যাতিত নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরন হয়েছে। বক্তারা জানতে চান, পতিত অবৈধ আওয়ামীলীগের লাখো লাখো মামলায় কয়েক কোটি বিএনপি নেতাকর্মীরা যেই মামলার আসামি হয়েছিল তারা কি অতিউৎসাহী হয়ে নিজেরাই মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে? নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইদ্রিস মিয়া চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশকের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনুষ্ঠিত সভায় পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া একতরফা নির্বাচনকে সার্বিক সহযোগিতা করতে দুই হাত তুলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি পটিয়ার সাবেক আওয়ামী সংসদ শামসুল হক চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল আলমের পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। এই ইদ্রিস মিয়া চট্টগ্রামের সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সক্রিয় ভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বক্তারা বিএনপির হাইকমান্ডের প্রতি অবিলম্বে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়াকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য প্রদান করায় তাকে দায়িত্ব থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে দ্রুত অপসারণের দাবী জানান। না হয় কারানির্যাতিত নেতাকর্মীরা রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন বিএনপি নেতা আবু আহমদ, গাজী আবু তাহের, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মাবুদ, আবুল কাশেম, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জামাল চেয়ারম্যান, ইব্রাহিম সওদাগর, নাছির উদ্দীন, মাহাবুবুল আলম, মুহাম্মদ শরীফ, আব্দুল মান্নান তালুকদার, এস এম হাবিবুল্লাহ, নাজিম উদ্দীন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হামিদুর রহমান পেয়ারু, ইয়াছিন আরাফাত, মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মো: মহসিন, হাবিবুর রহমান রিপন, ওবায়দুল হক রিকু, সেকান্দর হোসেন নয়ন, ইমরানুল হক বাহাদুর, আলাউদ্দিন, শাখাওয়াত হোসেন, আবু নোমান লিটন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো: ফিরোজ, শাহাদাৎ হোসেন, এস, এম নয়ন, আশরাফুল আলম সোহেল, রফিকুল হাসান, মন্নান হোসেন, নুরুল আলম, আহমদ উল্লাহ, আবদুর রহমান, মাহাবুব আলম, জামাল উদ্দীন, জসীম উদ্দীন, হাবিব, জামাল খাঁন, আরিফুল, আবু আহমেদ, বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার বিএনপি, অঙ্গ ও সংগঠনের নির্যাতিত নেতাকর্মীরা।