দুর্জয় বড়ুয়া (প্রতিনিধি)
“এতিম শিশুরা যেন বাবা-মায়ের অভাব অনুভব না করে, সেটি নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সেনাবাহিনী সবসময় মানুষের পাশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। সমাজের বিত্তবানদেরও উচিত এ শিশুদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা।”
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এতিম ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ উপহার ও আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মোঃ আমান হাসান এসব কথা বলেন।
দেশের সুরক্ষা ও শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি সেনাবাহিনী সবসময় মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি ২০৩ পদাতিক ব্রিগেডের উদ্যোগে ও দীঘিনালা সেনা জোনের বাস্তবায়নে বোয়ালখালী ইউনিয়নের পশ্চিম থানাপাড়া-কুমিল্লাটিলা এলাকার আল-হুদা মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানায় শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ঈদের বিশেষ উপহার ও নগদ অনুদান।
শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী তাদের পাশে থাকবে জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মোঃ আমান হাসান বলেন, “শিশুরা যেন নির্বিঘ্নে এখানে বেড়ে উঠতে পারে, সে জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।” এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে তিনি মাদ্রাসার উন্নয়নে ২ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে চকলেট ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের সহধর্মিণী ফারহানা আক্তার চৌধুরী, দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওমর ফারুক, উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান, অ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আহনাফ হোসেন, দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
সেনাবাহিনীর এই মহতী উদ্যোগ শুধু একটি অনুদান নয়, এটি একটি প্রতিশ্রুতি—প্রতিটি শিশুই যেন ভালোভাবে বেড়ে ওঠে, সমাজের দায়িত্ববান নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠে। খাগড়াছড়ি রিজিয়নের অধীনে সাতটি সেনা জোনে রমজান মাসজুড়ে এই মানবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
সেনাবাহিনীর ভালোবাসায় আলোকিত হলো দীঘিনালার এতিম শিশুদের ঈদ—এটাই প্রকৃত উৎসব, প্রকৃত আনন্দ!