মাইনী গি’লে’ছে তরিৎকে—২৪ ঘণ্টা পর মিলল নি’থ’র দেহ!

দুর্জয় বড়ুয়া : মাঠে লাকড়ি ছিল, মেঘে ঢাকা আকাশ, আর নদীতে ছিল হঠাৎ আসা পাহাড়ি ঢল। সে ঢলেই ভেসে গেলেন তরিৎ চাকমা (৫৫)। নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর শনিবার সকালে মাইনী নদীর তলদেশ থেকে পাওয়া গেল তাঁর নিথর দেহ।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের কেতুচন্দ্র কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মৃত নন্দলাল চাকমার ছেলে।

শুক্রবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে আটটায় ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে নদীতে নামেন তিনি। কিন্তু দুর্দান্ত স্রোত তাঁকে টেনে নেয় অজানার দিকে। নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয়দের সহায়তায় শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। দীঘিনালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি না থাকায় প্রথমে ভরসা ছিল স্থানীয় মানুষের উপরই।

পরদিন (৩১ মে) রাঙামাটি থেকে আসেন ফায়ার সার্ভিসের সাত সদস্যের একটি ডুবুরি দল। সকাল সাড়ে সাতটায় শুরু হওয়া দেড় ঘণ্টার অভিযানে অবশেষে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণে নোয়াপাড়া গ্রামসংলগ্ন মাইনী নদীর তলদেশে পাওয়া যায় তরিৎ চাকমার মরদেহ।

এ বিষয়ে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া জানান, “লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।”

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত কুমার সাহা বলেন, “টানা পাহাড়ি বৃষ্টিতে নদীতে প্রবল স্রোত ছিল। উদ্ধারকাজ চালাতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তারপরও থেমে যাইনি। আমরা নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছি, পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।”