
দুর্জয় বড়ুয়া:“সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ড শুধু এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, এটি আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য গুরুতর হুমকি। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে,” বলেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য।
প্রতিবাদ সভায় তরুণ কুমার ভট্টাচার্য আরো বলেন, “সাংবাদিক হত্যা শুধুমাত্র পেশাগত লাঞ্ছনা নয়, এটি গণতন্ত্র ও সংবাদ স্বাধীনতার উপর আঘাত। দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি না হলে স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের ভবিষ্যত অন্ধকার হবে।”
শুক্রবার (৮ আগস্ট ২০২৫) খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, “সাংবাদিক হত্যা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংবাদিক সমাজ একতাবদ্ধ হলে ন্যায়ের পথে কোনো বাধাই অতিক্রম করা যাবে না।”
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এতে জেলার বিভিন্ন পেশার সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, সরকারের দায়িত্ব সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করা। তারা আশা প্রকাশ করেন, সমাজ ও সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় সাংবাদিকরা নিরাপদ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।