শিক্ষা, আদর্শ ও আন্দোলনে পরীক্ষিত নেতা: চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আলোচনায় ওসমান

অভি পাল:বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রজন্মের মধ্যে যারা মেধা, অভিজ্ঞতা ও জাতীয় আদর্শকে একসূত্রে গেঁথে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত, তাদেরই উজ্জ্বল প্রতিনিধি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী। তিনি শুধু আইনজীবীই নন, একজন পরীক্ষিত নেতা—যিনি রিমান্ডে শারীরিক নির্যাতন, দমন-পীড়ন, রাজপথের আন্দোলন ও আইনি লড়াই—সব পর্যায়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি থেকে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের একজন সম্ভাব্য প্রার্থী।
চট্টগ্রাম-১৫ আসন ঘিরে যখন নানা গুঞ্জন ও সম্ভাবনার চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে, তখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা, সততা, শিক্ষা এবং সুদীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি প্রস্তুত—অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকারে।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ঐতিহ্যবাহী পরিবারে জন্ম নেওয়া ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী শিক্ষাজীবনে ছিলেন মেধাবী ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে পাড়ি জমান লন্ডনে। সেখান থেকে অর্জন করেন ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল ডিগ্রি।

দেশে ফিরে হাইকোর্টে পেশাগত জীবন শুরু করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও উপদেষ্টা মরহুম এ.এফ. হাসান আরিফের অধীনে। পেশাগত দিক দিয়ে যেমন সফল, রাজনৈতিক ময়দানেও তিনি দৃঢ়চেতা। জাতীয়তাবাদী আদর্শকে বুকে ধারণ করে মানবিক কাজে নিজেকে উজ্জীবিত রাখাই ছিল তার মূল লক্ষ্য । পিতা মরহুম আব্দুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। বাবার ছায়া অনুসরণ করে স্কুল-কলেজ থেকেই রাজনীতির মঞ্চে সক্রিয় হন ওসমান চৌধুরী। ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালেও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, যুক্তরাজ্য শাখায় জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলেন।

২০১৯-২০ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে বিপুল ভোটে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক।

প্রজ্ঞা, পেশাদারিত্ব ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতায় ব্যারিস্টার ওসমান ব্যতিক্রমী।তার প্রার্থিতা সাতকানিয়ায় জন্ম দিয়েছে নয়া রাজনৈতিক আলোচনার।নেতৃত্বে রয়েছে দৃঢ়তা, আদর্শে অটল—এই গুণেই পেয়েছেন মানুষের আস্থা।তিনি শুধু রাজনীতিক নন, একজন শিক্ষিত সমাজদ্রষ্টাও।জনগণের মুখে মুখে এখন একটাই নাম—ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী।